ত্রাণচোর ও অপরাধী ধরা হচ্ছে, বিএনপির নেতাকর্মীকে নয়: কাদের

  05-07-2020 04:39PM

পিএনএস ডেস্ক: ‘ত্রাণ চুরিসহ নানা অপরাধে যারা গ্রেফতার হচ্ছেন, তাদের পরিচয়- তারা অপরাধী। সরকার অপরাধীদেরকে গ্রেফতার করছে, বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে নয়’।

রোববার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।

বিএনপি নেতাকর্মীদের ধরে সরকার নাকি জেল ভর্তি করছে- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির কোনো শীর্ষ নেতা কিংবা কেন্দ্রীয় কমিটির ৫৯২ সদস্যের কোন নেতা এখন জেলে আছে? ত্রাণ চুরিসহ নানা অপরাধে যারা গ্রেফতার হচ্ছেন, তাদের পরিচয়- তারা অপরাধী। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত আছেন তাদের পরিচয়- তারা অপরাধী। সরকার নিজেদের লোকদের কাউকেও এ ব্যাপারে ছাড় দিচ্ছে না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, এ সংকটের সময় ত্রাণে অনিয়ম, মজুতকারী, আত্মসাৎ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত, তাদের গ্রেফতারে এরইমধ্যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই এখন জেলে আছেন। বিএনপির চিহ্নিত অপরাধী ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোনো নেতা গ্রেফতার হয়েছেন কিনা, এ সময় মির্জা ফখরুলের কাছে জানতে চান ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে দেশের উন্নয়ন কাজে কিছুটা বাধা এলেও এরইমধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন চলমান মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি সঞ্চার হয়েছে। শত প্রতিকূলতার মাঝেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার প্রকল্প পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল রুট-৬, কর্ণফুলী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ অন্যান্য প্রকল্পের কাজ পুরোদমে চলছে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকার উন্নয়নমুখী সরকার। জনগণের জীবনমান উন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তায় চলমান উন্নয়ন প্রবাহ ধরে রেখেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আওয়ামী লীগ সচেষ্ট।

বছরের পর বছর নানা দুর্যোগ মোকাবিলা করেই আজকের উদীয়মান অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সংকটে নেতৃত্ব দিয়ে জনগণের দৃঢ় আস্থার অপর নাম দেশরত্ন শেখ হাসিনা। সরকারকে এখন করোনার সংক্রমণ রোধ ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, বন্যা কবলিত ১২টি জেলার মানুষের সুরক্ষা এবং আসন্ন ঈদে মানুষের সমাগম তথা ভিড় এড়ানো- এই তিনটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, রোজার ঈদে মানুষের অবাধ চলাচল, ভিড় ও সমাবেশে অংশগ্রহণের ফলে সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল। তাই আসন্ন কোরবানির ঈদে এ সমাগম ও ভিড় যেকোনো মূল্যে এড়াতে হবে- নিজের বেঁচে থাকার স্বার্থে।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন