রাজনৈতিক দলে ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্বের বিধান বহাল রাখার দাবি

পিএনএস ডেস্ক : রাজনৈতিক দলে ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্বের বিধান বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম। ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি রওশন আরা রুশো ও সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী শম্পা বসু আজ রবিবার এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেছেন, নির্বাচন কমিশন আরপিও’র বিধান থেকে রাজনৈতিক দলে ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব রাখার বিধান তুলে দেওয়ার প্রম্তাব করেছে। যা গ্রহণযোগ্য নয়। প্রয়োজনে সময়সীমা বাড়াতে হবে এবং ওই বিধান বাস্তবায়নের জন্য রোডম্যাপ প্রণয়ন ও মনিটরিং থাকতে হবে।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করা, সেই প্রতিষ্ঠান স্বৈরতান্ত্রিক উপায়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ও অন্যান্য স্টেক হোল্ডারদের সাথে কোন রকম আলোচনা না করে এমন একটি মৌলিক বিষয়ে প্রস্তাবনা হাজির করলো যা অগণতান্ত্রিক। ১০ বছরে কতটুকু অর্জন করা গেল, কতখানি গেল না, কেন অর্জন করা গেল না। কমিশনের মনিটরিং কি ছিল, এই পর্যালোচনা তাদের করতে হবে। এ জন্য কমিশনকে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ও অপরাপর অংশীজনদের সাথে আলোচনা করতে হবে। তার ভিত্তিতে প্রয়োজনে সময় বাড়িয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, আমাদের দেশে নারী প্রধানমন্ত্রী গত ২৮ বছর ধরে ১৯৯০ সাল থেকে মাঝখানে কেবল ২ বছর বাদ দিলে ক্ষমতায় রয়েছেন। দেশের সরকারি দলের প্রধান নারী, সংসদে বিরোধী দলের প্রধান নারী, রাজপথের বিরোধী দলের প্রধান নারী, জাতীয় সংসদের স্পিকার নারী। পৃথিবীতে এমন ঘটনা বিরল। সেরকম দেশে নারীদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ এতো কম কেন? এই পর্যালোচনাও হওয়া দরকার।

নেতৃবৃন্দ বলেন, অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী, ধর্মীয় কুপমুণ্ডকতা ও কুসংস্কার থেকে মুক্ত এবং নারী নির্যাতন বন্ধ ও নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলে রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানো যাবে না। এ সকল বাধা দূর করতে রাষ্ট্র ও সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। নারীদের রাজনীতিতে ও নেতৃত্বে নিয়ে আসতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।

পিএনএস/জে এ