আওয়ামী লীগ নেতা মুহিবুল্লাহর খুনিদের ছাড় নয়: তথ্যমন্ত্রী

  09-05-2021 02:13PM

পিএনএস ডেস্ক : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাঙ্গুনিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা মুহিবুল্লাহ খুনের সাথে যারা জড়িত তাদের কাউকে ছাড় নয়। তবে নিরপরাধ কেউ এই মামলায় আসামি হয়ে থাকলে পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে তাদের রেহাই দেবে। মামলায় আসামি হয়নি তবে পুলিশের তদন্তে যদি কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় তাদেরও অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।

শনিবার চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কোদালা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তথ্য মন্ত্রীর পারিবারিক প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে লকডাউনের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সাধারণ মানুষের কাছে মুহিবুল্লাহর খুনিদের বিচার চেয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আগে কর্ণফুলি নদী বিধৌত এই কোদালা ইউনিয়নের সড়ক দিয়ে হাঁটা যেতো না, প্যান্ট তুলে কাদা মাড়িয়ে হাঁটতে হতো। এতগুলো নদীর ঘাট হয়নি, নদী ভাঙন রক্ষায় ব্লক হয়নি, সব আমাদের সরকার করেছে। লম্বা লম্বা কথা বলে মিছিল করবেন, আবার সেই মিছিল থেকে আমাদের কর্মীদের হত্যা করবেন, তা হতে পারে না।

তিনি বলেন, যারা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মিছিল দিয়ে মুহিবুল্লাহকে হত্যা করেছে, সেই জামায়াত-বিএনপি করোনাকালীন এই বিপদে সাধারণ মানুষের পাশে নেই। কোনো মানুষকে তারা এক মুষ্টি চালও দেয়নি। অথচ করোনার প্রথম থেকেই আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সাধারণ মানুষের পাশে থেকেছে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, করোনার প্রথম দফায় আমার পারিবারিক প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সরকারি সাহায্যের পাশাপাশি রাঙ্গুনিয়ার ২০ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছিলো। দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে ইতোমধ্যে আরো ১০ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি বদিউল আলম মাস্টারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইছহাক সওদাগরের সঞ্চালনায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ইদ্রিছ আজগর, নজরুল ইসলাম তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক কাউছার নূর লিটন, সদস্য নাছির উদ্দিন প্রমুখ। এসময় ইউনিয়নের ৪’শ দরিদ্র মানুষের মাঝে ত্রাণ সহায়তা তুলে দেয়া হয়।

এর আগে তথ্য মন্ত্রী নিহত মুহিবুল্লাহর কবর জেয়ারত করেন এবং তার পরিবারের কাছে ব্যক্তিগত উদ্যোগে একটি সিএনজি অটোরিকশা উপহার দেন। তিনি নিহত মুহিবুল্লাহর স্বজনদের গভীর সমবেদনা জানান।

উল্লেখ, গত ৩ এপ্রিল রাতে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে একটি রিসোর্টে নারীসহ হেফাজত নেতা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করার খবর ছড়িয়ে পড়লে রাঙ্গুনিয়ার কোদালায় একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন বিএনপি-জামাত ও হেফাজতের নেতা-কর্মীরা। সেখান থেকে হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা মুহিবুল্লাহকে বেধড়ক পিঠিয়ে হত্যা করা হয়।

পিএনএস/এসআইআর

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন