বিএনপি পাগল এক প্র্রকৌশলী, সবাই যখন গর্তে তখন তিনি সরকারি চাকুরি ছেড়ে রাজপথে!

  01-10-2016 03:35PM

পিএনএস (অলিদ তালুকদার) : বিএনপি পাগল এক প্র্রকৌশলী, সবাই যখন গর্তে তখন তিনি সরকারি চাকরি ছেড়ে রাজপথে! তার নাম আ হ ম মনিরুজ্জামান দেওয়ান (মানিক)।
চাঁদপুর জেলা বিএনপির রাজনীতিতে অনুপস্থিতি ও অন্তঃকোন্দল কি দৃশ্যমান’ শীর্ষক এমন খবর এখন অতীত। এই জেলা বরাবরই রাজনৈতিক কৃষ্টি ও ঐতিহ্য লালন করে আসলেও বর্তমান সরকার তা ধ্বংস করে দিয়েছে। রাজনৈতিক শ্যূণ্য মাঠে বর্তমান সরকার প্রশাসন দিয়ে দল চালাতে গিয়ে এখন নিজেরাই জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। হামলা-মামলা, গুম-খুন করার যে রাজনীতি বর্তমান সরকার সূচনা করেছে দেশজুড়ে তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। অন্তকোন্দলে আওয়ামীলীগ মরছে আর বিএনপি তার ফায়দা লুটছে। তৃণমূল জরিপে এমনটি দেখা গিয়েছে চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার সব ক’টি ইউনিয়ন ঘুরে।

চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার সব ক’টি ইউনিয়ন ও কচুয়া পৌরসভা এবং মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত চাঁদপুর-১ আসনটি। রাজনৈতিকভাবে এই আসনটি বরাবরই বিএনপি’র রাজনীতির অনূকুলে থাকলেও বিগত নির্বাচনে তার ছেদ পড়েছে। আওয়ামী দু:শ্বাসন এমনই পর্যায়ে পৌছিয়েছে যে, এখন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে বিশেষ করে বিএনপিকে থাকতে হয় এলাকার বাইরে। বিগত আন্দোলন সংগ্রামে প্রবীনদের পিছুটানের কারণে বিএনপি’র নেতৃত্বে যে শ্যূণ্যতা শুরু হয়েছিল, তা এখন কাটতে শুরু করেছে। বিশেষ করে নবীন নেতৃত্ব ও এক নেতার এক পদ পদ্ধতি দলের সকল স্তরে প্রশংসীত হয়েছে এবং দেশব্যাপি তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।

এ ব্যাপারে কচুয়া উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক সরকারী প্রকৌশলী আ হ ম মনিরুজ্জামান দেওয়ান ’মানিক’ বলেন, বর্তমান সরকার প্রশাসন দিয়ে রাজনীতি চালায় আর গণতান্ত্রীক বিশ্বে রাজনীতিবীদরাই প্রশাসনিক নির্দেশে দেশ চালায়। আর এইকাজটি করতে গিয়ে তারা বিরোধীদলের সকল নেতা-কর্মিদেরকে গণহারে মামলা-হামলা, গুম-খুন করে তাদেরকে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেছে। এমনকি প্রশাসনের সহযোগীতা ১১ জরুরী অবস্থায় যারা জিয়া পরিবার ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে সম্পৃক্ত এবং সংস্কারবাদী প্রক্রিয়ায় ছিল বিএনপি’র তেমন কোন কোন নেতা-কর্মিদরেকে দিয়ে দলের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি করতে বাধ্য করছে। চাঁদপুরের মত একটা ছোট্র জেলায় এমনটি করতে গিয়ে বর্তমান সরকার জনগণের কাছে ধরা খেয়ে গিয়েছে। বিএনপি’র প্রতিষ্ঠালগ্নের পরে জনগণের মধ্যে এতো জনপ্রিয়তা আর কখনো এতো জনপ্রিয়তা পায়নি। কারণ, আওয়ামীলীগ প্রমাণ করতে পেরেছে যে, তারা ক্ষমতায় আসলেই প্রথমেই গণতন্ত্রকে হত্যা করে। পরে জনগনকে অত্যাচার করে। আর বিএনপি প্রমাণ করতে পেরেছে, জনগণই সকল শক্তির উৎস। আর তরুণ প্রজন্মই তার একমাত্র শক্তি।

কচুয়া বিএনপি’র কোন্দল প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের মধ্যে কোন কোন্দল নেই। দলের হাই কমান্ডের নির্দেশনায় আমরা কঁচুয়া বিএনপি’র কার্যক্রম গতিশীল, উজ্জীবিত ও নির্যাতিতদের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় জর্জরিত কচুয়া উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অংগ সংগঠনের প্রায় ৩০০ নেতা-কর্মীর জামিনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। দল পুর্নগঠনে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সমর্থনে আমি কচুয়া উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে উপস্থিত থেকে প্রতিটি ইউনিয়ন বিএনপি’র কমিটি গঠন করেছি এবং বর্তমানে কচুয়া উপজেলা বিএনপি’র ওয়ার্ড কমিটিগুলো পুর্ণগঠনে সচেষ্ট আছি, পাশাপাশি স্থানীয় ত্যাগী ও পরিক্ষিত নেতা-কর্মীদের সমন্বয়ে যুবদল ও ছাত্রদলের কমিটি গঠনে কাজ করছি। আগামী দিনে কেন্দ্রের ঘোষিত যে কোন আন্দোলন বাস্তবায়নে কঁচুয়া বিএনপি’র প্রস্তুতি দেখে সরকার দিশেহারা। বিগত দিনে যারা এমপি, মন্ত্রী ছিলেন, বর্তমান সরকার তাদের বিরুদ্ধে হামলা-মামলা হুলিয়া দিয়ে তাদেরকে আত্মগোপনে থাকতে বাধ্য করছে। হামলা-মামলা দিয়ে যে জনগণের আস্থা পাওয়া যায় না তা স্থানীয় আওয়ামী নেতারা বুঝে গিয়েছে। আর এই সুযোগে সরকারের একটি মহল বিএনপি’র নেতাকর্মীদের মাঝে ভূল বোঝাবুঝির প্রচারণা চালিয়ে ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ন হয়েই এমন হীন অপকর্ম কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছে। সরকারকে হুশিয়ার কওে প্রকৌশলী আ হ ম মনিরুজ্জামান দেওয়ান ’মানিক’ বলেন, অনতিবিলম্বে কচুয়া বিএনপি’র নেতকর্মীদের উপর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও জেলে থাকা নেতৃবৃন্দকে নি:শর্ত মুক্তি না দিলে কচুয়াবাসী আওয়ামীলীগকে পরিত্যাক্ত ঘোষনা করবে। এবং কেন্দ্রের নির্দেশে সরকারের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কুচক্রি মহলের বিরুদ্ধে গন আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন