পিএনএস (মোঃ রুহুল আমীন চৌধুরী) : আধিপত্য বিস্তার শব্দদ্বয় পৃথিবী সৃষ্টি থেকে শুরু করে অসভ্য যুগ, অজ্ঞতার যুগ, সভ্যতার যুগ ও বর্তমানে অতি সভ্যতার যুগেও বিদ্যমান । জীবে-জীবে, জন্তুতে-জন্তুতে, মানুষে-মানুষের উপর আধিপত্য বিস্তার, এমন কি পাড়ায়-পাড়ায়, মহল্লায়-মহল্লায়, গ্রামে-গ্রামে, এক দেশ-অন্য দেশের উপর, এক ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির উপর আধিপত্য বিস্তার করেই চলছে।
আমরা এই শব্দ দুটোর সাথে উতো প্রোতো কিংবা শারিরীক ও মানুষিক ভাবে পরিচিত হয়েছি কথিত পৃথিবীর প্রথম সভ্য জাতি বৃটিশরা যখন পাকভারত উপমাহদেশ সহ প্রায় পৃথিবী পুরোটার উপর আধিপত্য বিস্তার করেছিল। তারা শুধু অধিপত্য বিস্তার করেই ক্ষান্ত হয়নি শোষণ, শ্বাসান ও নির্যাতন ছিল তাদের প্রতিনিয়ত ধর্মকর্মেও অন্তর্ভূক্ত। এমন কর্ম ও অপকর্ম নেই তারা করেনি।
অসভ্য ও অজ্ঞতার যুগে আধিপত্যের ধরন ছিল এক রকম, পরবর্তীতে গোষ্টিতে -গোষ্টিতে ছিল কর্তৃত্বের লড়াই। এরপর জাতীতে জাতীতে ক্ষমতা ও নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা। বর্তমানে অতি সভ্যতার যুগে এসে সম্রাজ্যবাদি ও সামাজীক সম্রাজ্যবাদি অপশক্তি তাদের আধিপত্য বিস্তারের ধরণ পাল্টিয়েছে। তারা তৈল ও প্রত্মতাত্বিক সম্পদে ভরপুর মুসলীম বিশ্বের প্রতি লোলুপ ও কুদৃষ্টি কুচারিতার্থ করার লক্ষে এক ঢিলে দুই পাখী স্বীকার করে চলছে।
অর্থাৎ মুসলমানদের বিভিন্ন গোষ্টিতে গোষ্টিতে বিভেদ সৃষ্টি করে, মুসলমানদেরকে বিভিন্ন সম্প্রদায়ে ভাগ করে পেট্রোডলারের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন গোত্রীয় ও বিরোধী নেতৃবৃন্দকে হাতে কলমে প্রশিক্ষন দিয়ে স্ব-স্ব দেশে প্রেরন করেই ক্ষান্ত হয়নি। শান্তি শৃংখলা বিনষ্ট করে ক্ষমাতায় বসানোর লক্ষ্যে তাদের প্রশিক্ষিত ও অনুগত কুখ্যাত ব্যাক্তি এবং দলকে ক্ষমতায় বসিয়ে আনুগত্য প্রতিষ্ঠা ও মূল্যবান সম্পদ লুণ্ঠন করার পথ সুগম ও সহজ করে নিয়েছে।
উল্লেখ্য যে শিয়া, চুন্নী, ওহাবী ও কুর্দি ইত্যাদি গোত্রিয় নেতাদের সম্ররাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদি শক্তি তাদের নিজস্ব অর্থায়নে প্রশিক্ষন দিয়ে চলছে। বর্তামানে তারা মুসলীম বিশ্বকে বেচে নিয়েছে। এই সমস্ত অঞ্চলে আশন্তি সৃষ্টি করার জন্য প্রশিক্ষনের পাশাপাশি কিছু মরনযন্ত্র তথা যুদ্ধ বিমান, ট্রাংক ও ক্ষেপনাস্ত্র সহ নানাহ কিছু সরবরাহ করে চলছে। শুধু তাই নয় জোট বদ্ধ হয়ে নানাহ মরনাস্ত্রসহ সরাসরী প্রতিদিন শতশত লোককে পাখীর মতো হত্যা করা হচ্ছে।
তারা কখনও ওসামা বিন লাদেন সৃষ্টি করেছে। কখনও আইএস সহ বিভিন্ন নামে মুসলীম বিশ্বে ইনভেষ্ট করে চলছে। আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইরাক, লিবিয়া ও ফিলিস্তিন সহ মুসলীম বিশ্ব্রে অধকাংশ দেশের শান্তি প্রিয় মানুষকে ঝাঁকেঝাঁকে হত্যাসহ লৌহ মানব সাদ্দাম হুসেন ও মুয়ারম্মর গাদ্দাফীকে হত্যা করে লুট পাটের স্বার্থে অনুগত ব্যাক্তি ও দলকে ক্ষমতায় বসিয়ে কুচারিতার্থের পথকে সুগম ও স্বাবলীল করে চলেছে।
পৃথিবী সৃষ্টি থেকে আমরা দেখে আসছি। মুসলমানদের দমীয়ে রাখার জন্য ইসলামকে ধ্বংস করার প্রয়োজনে বিভিন্ন অপকৌশল অবলম্বন অব্যাহত রেখেছে। বর্তমানে সম্রাজ্যবাদি অপশক্তি ও তাদের দোসররা ইসলাম ও সুসলমানদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্য মুনাফেক ও নামধারী মুসলিম অর্থলোভীদেরকে দিয়ে ইসলাম ও মুসলমানদের প্রতিরোধ ও ধ্বংস করার লক্ষ্যে বিধর্মীদের সঞ্চিত তহবিলে ডলারের মাধ্যমে বিকৃত ও ভূলভাল বুঝিয়ে একশ্রেনীর স্বর্থন্নেসী মহল মেধাবী যুব সমাজকে উত্তেজীত ও ক্ষেপিয়ে তুলছে।
অপরদিকে ইসলামী বিশেষজ্ঞ নামে ক্ষ্যাত ধর্মীয় উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তিদের মাঝে অধিকাংশরাই দুনিয়ার অশুভ, অকল্যান ও অপকর্মের প্রতিযোগিতা বেশামাল হয়ে পরেছেন।। স্বল্পসংখ্যক দ্বীনদার হক্কানী আলেম ওলামাগন তীত স্বন্ত্রস্ত ও দুর্বল। আমাদের সাধারন ঈমানদার মুসলমান যারা আছেন, তারা নেতৃত্বশুন্য ও সত্যিকারের ইসলামীক দীক্ষায় দীক্ষিত সাহসী সিপাহশালার এর অভাব বোধ করছেন।
আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, হে আল্লাহ তোমার প্রেরিত গ্রন্থের আলোকে তোমার প্রেরিত রাসুল (স:) (আল-আমিন) এর চরিত্র অনুসরন ও অনুকরন করে আমাদের সকল তৌহিদী জনতার মাঝে ইমানী শক্তি ও শামর্থ দাও যেন আমরা তাহা বাস্তবায়ন করে সকল ধর্ম, বর্ন ও গোত্র নির্বিশেষে শান্তি প্রিয় সহ অবস্থানে বসবাস ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারি।
“আমিন, ছুম্মা আমিন”
লেখকঃ রাজনীতবিদ ও সমাজসেবক, সহ-সভাপতি কচুয়া কল্যাণ সংঘ, ঢাকা । সাবেক সভাপতি বাংলাদেশ আন্তঃ বিঃ বিঃ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন, সাবেক চাঁদপুর জেলা পরিষদে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির নির্বাচিত সদস্য এবং জাতীয় পার্টির নেতা।
পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম
আধিপত্য বিস্তার
20-10-2016 02:11PM