মাশরাফির জন্য বেদনা : পাপনও এখানে পাপেট মাত্র

  07-04-2017 04:15PM

পিএনএস (প্রভাষ আমিন) : জীবনের সব ক্ষেত্রে থামতে জানাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সাফল্যটা অবশ্যই দরকার। কিন্তু সেই সাফল্যের সীমাটাই জানা দরকার। যেমন ২০১৩ সালে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ সাফল্যের তুঙ্গ স্পর্শ করলেও কোথায় থামতে হবে সেটা না জানায়, গণমানুষের আবেগ অনেকটাই থিতিয়ে গিয়েছিল।

খেলোয়াড়ি জীবনে থামতে জানাটা, এমনকি খেলতে পারার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের অনেক খেলোয়াড় শুধু সময়মত অবসর নিতে না পারায়, ক্যারিয়ারে অনেক অর্জন থাকার পরও নিন্দিত হয়েছেন। এমনকি শচীন টেন্ডুলকারের মত গ্রেট খেলোয়াড়কে নিয়েও ফিসফাস শোনা যাচ্ছিল, এখনও যাচ্ছে না কেন।


তাই মাশরাফি যখন টি-২০ ছাড়ার ঘোষণা দিলেন, আমি অবাক হইনি, খারাপও লাগেনি। বরং চারদিকে যখন হাহাকার তৈরি হলো, ‘ম্যাশ, এখনই বিদায় বলো না’ তখনও খারাপ লাগেনি। যদিও মাশরাফির অবসর ঘোষণার জন্য আমি মানসিকভাবে তৈরি ছিলাম না। মাশরাফিকে বিদায় বলতে মন সায় দিচ্ছিল না, তবুও ভালোই লাগছিল।


যাক, মাশরাফি অন্তত কোথায় থামতে হবে তা জানেন। কিন্তু অবসরের ধরণটা দেখে একটা অস্বস্তির কাঁটা মনে খচখচ করছিল। একটা সিরিজ শুরুর আগে এ অবসরের ঘোষণা একটু ব্যতিক্রমিই। এর আগে কেউ টস করার আগে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন কিনা জানি না। মাশরাফির অবসরটা দেশের মাটিতে হতে পারতো। প্রয়োজনে এ জন্য বিশেষ ম্যাচের ব্যবস্থা করা যেতে পারতো।


আর কিছু না হোক, মাশরাফি যদি দুই ম্যাচ শেষ হওয়ার পর পুরস্কার বিতরণ মঞ্চে অবসরের ঘোষণা দিতেন, তাহলে সেটা স্বাভাবিক হতো। কিন্তু ফেসবুক পেজে অবসরের ঘোষণা দেয়া আর টসের পর ডিন জোন্সের কাছে সেটা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেয়ার কারণেই ডালপালা মেলেছে নানা গুঞ্জন।


কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচ শেষে সাংবাদিকরা ম্যাচ ফেলে মাশরাফির অবসর নিয়েই তাকে ছেঁকে ধরেন। মাশরাফি মাশরাফির মতই। তরুণদের জন্য জায়গা ছেড়ে দেয়ার জন্যই অবসরের সিদ্ধান্ত এ কথা বলে উদাহরণও দিয়েছেন মাশরাফি ‘এই যে দেখেন আজ সাইফের অভিষেক হলো। সে ভালো বোলার। আমি না থাকলে সে অনেকটা নির্ভার হয়ে খেলতে পারবে।


তার কণ্ঠে দুঃখ রুবেলের জন্যও, ‘দেখুন শেষ দুটি টি-২০ ম্যাচে রুবেল ৭ উইকেট নিয়েছে। অথচ তার জায়গা হলো না একাদশে। তাকে ফিরে যেতে হলো। এটা আমাকে একটু আহত করেছে। আমার জন্যই তার জায়গা হলো না।’ এটাই মাশরাফি। এটাই নেতৃত্ব। সব দায় নিজের কাঁধে নিয়ে নেন অনায়াসে।


অবসরের পেছনে কতটা অভিমান, কতটা কান্না লুকিয়ে আছে কাউকে জানতেই দিলেন না। অবসরের পেছনে বোর্ডের কোনো চাপ ছিল কিনা, এই প্রশ্নের জবাবেও তিনি নীলকণ্ঠ, ‘আমার কাছে মনে হয় এই সময়ে বিতর্ক তৈরি না করে আমাদের ক্রিকেটের উন্নতির জন্য কাজ করা উচিত। আমাদের ক্রিকেট এগিয়ে যাক। আমার কাছে মনে হয় না এই সব নিয়ে আলোচনা করার কিছু আছে।’ মাশরাফি বিতর্ক চান না, কিন্তু এই শব্দটাই আমাদের দেখিয়ে দিলো বিতর্কের ধোঁয়া, যার আড়ালে লুকিয়ে আছে অনেক আগুন।


শ্রীলঙ্কায় থাকা সূত্রগুলো্ জানাচ্ছে, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন চার সিনিয়র খেলোয়াড় মাশরাফি, মুশফিক, তামিম, সাকিবকে ডেকে জানিয়ে দিয়েছেন, বোর্ড তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক চায়। পাপন পরে সাংবাদিকদের কাছে তা স্বীকারও করেছেন। মাশরাফির মত কারো পক্ষে এরপর আর অধিনায়কত্ব চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।


তবে তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়কের ভাবনাটা আসলে বোর্ডের নয়, কোচ হাতুরাসিংহের। তিনি আসলে এই সিরিজেই টি-২০তে নতুন অধিনায়ক চেয়েছিলেন। শুধু তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক তত্ব নয়, হাতুরাসিংহে আসলে দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের তাড়াতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। মাশরাফি-মুশফিক-সাকিব-তামিম-রিয়াদ এখন ফর্ম, অভিজ্ঞতা, ম্যাচিউরিটির তুঙ্গে।


এই পাঁচজনকে ঘিরেই আবর্তিত হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট, তরতর করে এগুচ্ছে সাফল্যের তরী। এই পাঁচজন আরো কিছুদিন একসঙ্গে থাকলে বাংলাদেশের ঝুলিতে আরো অনেক সাফল্য জমা হতে পারতো। কিন্তু বাংলাদেশের ক্রিকেট এখন ওয়ান ম্যান শো। হাতুরাসিংহে যা চান, যা বলেন, তাই এখন শেষ কথা। পাপনও এখানে পাপেট মাত্র।


হাতুরাসিংহের ন্যায্য-অন্যায্য ইচ্ছার পথে যতটুকু বাধা তা এই পাঁচজন। তাই তারুণ্যকে সুযোগ দেয়ার নামে তিনি আসলে সিনিয়রদের তাড়িয়ে ড্রেসিং রুম থেকে আর্গুমেন্টকে চিরতরে দূর করতে চান, নিরঙ্কুশ করতে চান তার আধিপত্য। মাশরাফিকে দিয়ে সেই বিপদজনক পথে যাত্রা শুরু করলো বাংলাদেশ। এরপর সাকিব টি-২০ অধিনায়ক হচ্ছেন, এটা প্রায় নিশ্চিত।


পাশাপাশি এটাও নিশ্চিত, শিগগিরই টি-২০ ম্যাচে সাকিব ছাড়া আর কোনো সিনিয়র খেলোয়াড়কে দেখা যাবে না। তবে সাকিবও খুব বেশিদিন থাকছেন না। হাতারুসিংহের প্রিয় সৌম্য তৈরি হওয়া পর্যন্তই সুযোগ পাবেন সাকিব। মাশরাফি টেস্ট খেলার সামর্থ্য হারিয়েছেন অনেক আগেই। এবার চলছে বাকিদের বিদায় করার পালা।


ক্রিকেট যতটা শারীরিক সামর্থ্যের খেলা, তারচেয়ে অনেক বেশি মানসিক সক্ষমতার। হা্তুরাসিংহেও এটা ভালো করেই জানেন। তাই কারো আত্মবিশ্বাস ভেঙ্গে দিতে পারলে, তাকে ছুঁড়ে ফেলা খুব সহজ হয়। এই যেমন মুশফিকের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার কাছ থেকে কিপিং গ্লাভস কেড়ে নিয়ে আসলে তার আত্মবিশ্বাসের ভিত ধরে নাড়া দেয়া হয়েছে।


দ্বিতীয় টি-২০ থেকে মুশফিক বাদ পড়ছেন, এমন একটি গুজব ছড়িয়ে আবারও ধাক্কা দেয়া হয়েছে তাকে। আর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে শ্রীলঙ্কায় যে নাটক হয়েছে, তাতে এরপর সে ভালো খেলতে না পারলে দোষটা কার হবে, বোর্ডের, হাতুরার না রিয়াদের?


এভাবেই একে একে অভিজ্ঞ সৈনিকদের ছুঁড়ে ফেলে হাতুরা তার সাম্রাজ্য নিশ্চিত করবেন। পাপনকে পাপেট বলাতে কারো কারো আপত্তি থাকতে পারে। একটা প্রমাণ দেই?


রিয়াদকে দেশে ফেরত পাঠানো নিয়ে নাটকের শুরুর সময় পাপন বাংলাদেশে ছিলেন। তখন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পাপন বলেছিলেন, এ ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। একদিন পর শ্রীলঙ্কা গিয়ে সাংবাদিকদের বললেন, মাহমুদুল্লাহকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত তার নিজের। হাতুরাসিংহেকে যে বাঁচাতে হবে আগে। তাই পাপন সব দায় কাঁধে তুলে নিলেন। এখন আসলে বোর্ডের চেয়ারম্যান, দলের অধিনায়ক, প্রধান নির্বাচক সবই হাতুরাসিংহে।

খেলা শুরুর আগে মাশরাফির মত অধিনায়ক অবসরের ঘোষণা দিলে সেই ম্যাচে দলের কাছ থেকে জয় আশা করা যায় না। তবুও শ্রীলঙ্কাকে জিততে ঘাম ঝরাতে হয়েছে। আর এই ম্যাচেও দলের সেরা বোলারের নাম মাশরাফি। এটাই মাশরাফি।


আবুল হাসানের কবিতার মত, ভেতরে বিষের বালি, তবুও মুখ বুজে মুক্তা ফলান তিনি। শরীরে ১১টি অপারেশনের ধকল নিয়ে যে মাশরাফি এখনও খেলে যাচ্ছেন, এটাই তো বিস্ময়কর। মনোবল আর দেশপ্রেম না থাকলে কারো পক্ষে এটা সম্ভব হতো না।


অথচ ২০০৯ সালে অধিনায়কত্ব পাওয়ার বছরেই শেষ হয়ে যেতে পারতো মাশরাফির ক্যারিয়ার। অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার প্রথম ম্যাচেই ইনজুরি ছিটকে ফেলে তাকে। এই ইনজুরি বারবার মাশরাফির সাথে লুকোচারি খেলেছে। এই ইনজুরি কেড়ে নিয়েছে তার অনেক স্বপ্ন। মাশরাফি অনেক শক্ত মনোবলের অধিকারী। কিন্তু এই মাশরাফির চোখেও জল ঝরেছে।


২০১১ সালে দেশে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে খেলতে চেয়েছিলেন মাশরাফি। কিন্তু তার চোখের জলও গলাতে পারেনি বোর্ডের মন। তখন অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, বুঝি ফুরিয়ে গেছে মাশরাফির গল্প। মাশরাফির গল্প আসলে নিছক গল্প নয়, গল্পের চেয়েও বেশি কিছু। যেন সিনেমার মত- পরতে পরতে থ্রিল, সাসপেন্স; মাশরাফি যেন আমাদের সুপারহিরো।


মাশরাফি আসলে অন্য ধাতুতে গড়া। ইনজুরি এসে বারবার ধ্বংস করে দিতে চায় তাকে, কিন্তু আবার তিনি উঠে দাঁড়ান। এই অদম্য মনোবলটাই তিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন দলে। বাংলাদেশ দলের সাম্প্রতিক সাফল্যের জন্য কেউ কেউ কোচ হাতুরাসিংহেকে কৃতিত্ব দিতে চান। নিশ্চয়ই তার কৃতিত্ব আছে। আর এই কৃতিত্বকে পুঁজি করেই এই শ্রীলঙ্কান বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বেসর্বা হয়ে গেছেন।


কিন্তু আমার বিবেচনায় এই সাফল্য এসেছে মাশরাফির অদম্য মনোবলে চড়েই। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছে ক্রিকেট বিশ্বকেই চমকে দিয়েছিল বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ টানা ৬টি ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে। এ সবই মাশরাফির কৃতিত্ব।


আমার বিবেচনায় বাংলাদেশের সাফল্যটা এসেছে মাশরাফির নেতৃত্বে পেস বোলারদের উত্থানে। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মাটিতে মাশরাফি-তাসকিন-রুবেল গতির ঝড় তুলে চমকে দিয়েছিলেন গোটা বিশ্বকেই। এই তিনজনের সাথে পরে যোগ হয়েছে মুস্তাফিজ। পেস বোলারদের পারফরম্যান্সে আসা জয়ে যে গৌরব, অন্য কিছুতে তা নেই।


ক্রিকেটে কোচের চেয়ে অধিনায়কের কৃতিত্ব সবসময়ই বেশি। আর সে অধিনায়ক যদি হন মাশরাফি, তাহলে কৃতিত্বটা অবশ্যই বেশি। এ কারণেই হাতুরাসিংহের জ্বলুনি বেশি। আসলে মাশরাফি নিছক অধিনায়ক নন; তিনি দলের সবার আশ্রয়, সবাইকে আগলে রাখেন পরম মমতায়। কারো ফর্ম খারাপ হলে মাশরাফি তাকে আগলে রাখেন, সাহস জোগান। মাশরাফির পারফরম্যান্স হয়তো কিছুটা খারপ হয়েছে, কিন্তু নেতৃত্বগুণে তা পুষিয়ে দিয়েছেন। ১৯৯২ সালে পাকিস্তান বিশ্বকাপ জিতেছিল ইমরান খানের পারফরম্যান্সে নয়, নেতৃত্বে।


সবচেয়ে বড় কথা শরীরে ১১টি অপারেশন নিয়ে মাশরাফি মাঠে নামেন দেশের প্রতি বুকভরা ভালোবাসা নিয়ে। ত্রিকেট নিয়ে, দেশ নিয়ে মাশরাফির যে আবেগ, তা অনেকেরই নেই, হাতুরাসিংহের তো থাকার প্রশ্ন ওঠে না। শুধু দলের খেলোয়াড় নন, মাঠে ঢুকে পড়া ভক্তকেও নিরাপত্তা কর্মীদের কাছ থেকে বুকে আগলে রাখেন পরম মমতায়।


মাশরাফির অবসরের ঘোষণার পর মুশফিক, তামিম, রিয়াদ, তাসকিন, রুবেলদের ফেসবুক পেজে যে হাহাকার; তা পড়লেই বোঝা যায়, মাশরাফি দলের জন্য কতটা ছিলেন। তামিম বলে দিয়েছেন সবার মনের কথাটা, ‘মাশরাফির হয়তো কোনো বিশ্বরেকর্ড নেই। তার ঝুলিতে হয়তো ৪০০-৫০০ উইকেট নেই। কিন্তু তার নেতৃত্বে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ তার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।’



খেলাধুলা বিষয়ক লেখালেখি নিয়ে আমার একটি বই আছে ‘স্পোর্টিংলি নাও’। সেটি মাশরাফিকে উৎসর্গ করা। উৎসর্গপত্রে লিখেছিলাম ‘সুযোগ থাকলে আমি প্রয়োজনে মাশরাফিকে বাংলাদেশের আজীবন নন প্লেয়িং অধিনায়ক করে রাখতাম।মাঠে-ড্রেসিং রুমে মাশরাফির উপস্থিতিটাই বদলে দেয় দলের মনোবল।এমন একজন ক্রিকেটার বাংলাদেশেই জন্মেছেন বলে আমরা গর্বিত।’



মাশরাফিকে হয়তো সারাজীবন অধিনায়ক করে রাখা সম্ভব নয়। কিন্তু তাকে এভাবে চাপ দিয়ে সরিয়ে দেয়াটা অন্যায়। আমরা অনেক কোচ পাবো, বোর্ডের অনেক সভাপতি পাবো। কিন্তু মাশরাফির মত একজন অনুপ্রেরণাদায়ী অধিনায়ক আর পাওয়া যাবে না। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের যে কোনো দেশ, যে কোনো খেলায় মাশরাফির মত একজন নেতা পেলে তাকে মাথায় তুলে রাখতো।


মাশরাফি ২০১৯ সালের বিশ্বকাপটা খেলে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু যা খবর তাতে, এ বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দিয়েই শেষ করতে হবে তার ক্যারিয়ার। দাবি জানাচ্ছি, মাশরাফিকে কোনো না কোনোভাবে দলের সাথে সম্পৃক্ত রাখা হোক। হতে পারে ম্যানেজার বা অন্য কোনো ভূমিকায়। ড্রেসিং রুমে মাশরাফির উ্রপস্থিতিটা এখনও অনেক দরকার আমাদের।

[লেখক : সাংবাদিক, কলাম লেখক; বার্তা প্রধান, এটিএন নিউজ। ]
পিএনএস/জে এ /মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন