জানো না তোমাদের দেয়া আঘাতে মা কতটা কষ্ট পান, আল্লাহর আরশ কেঁপে ওঠে

  08-07-2017 01:42PM


পিএনএস ডেস্ক: একদিন স্বামীর সাথে অভি মান করে নাওয়া খাওয়া স্থগিত করে শুয়েছিলাম। পাশের ফ্ল্যাটের আন্টি এসে আমার শুকনো মুখ দেখে বুঝে গেলেন আমাদের মান অভিমানের বিষয়টি।

কারন আন্টিন আমাকে মেয়ের মতোই ভালোবাসতেন, আর আমি এবং আমার স্বামী দুজনেই তাকে মায়ের মতো ভালোবাসতাম। তাই আমরা তার কাাছে কোনো কিছু লুকাতাম না, বরং তার সাথে শেয়ার করতাম।

সেদিন আন্টি এসে বলল,কি ব্যাপর,স্বামীর সাথে অভিমান করেছো বুঝি?

আমিা মাথা নেড়ে হা সূচক উত্তর দিলাম।

আন্টি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করে বলল: ‘অভিথমান করে এভাবে নিজেকে কষ্ট দিও না। স্বামীর সাথে অমি ল হয়েছে, দেখবে একটু পরে এসে সে তোমাকে ঠিক ভালোবাসবে, ঠিক তোমার অভিমান ভাঙাবে। যদিও সে তোমার রক্তের বন্ধনের কেউ না তবুও সেই তোমার জীবনের সবচেয়ে আপনজন, সবচেয়ে কাছের মানুষ’।

‘বরং তৈরী হও কষ্ট সহ্য করার জন্য যা তোমার রক্তমাংসে গড়া সন্তানরা দিবে। তারা তোমাকে কষ্ট দিবে আবার নিজেরাই অভিমান করে থাকবে,আর তুমি তাদের মান অভিমান ভাঙাতে ব্যস্ত থাকবে। তবুও তাদের মন পাবে না’।

আন্টির কথাগুলো মাঝে মাঝে খুব বেশি মনে পড়ে। সত্যি সেদিন স্বামীর সাথে যা হয়েছিলো সব ভুলে গিয়েছিলাম তার ভালোবাসা পেয়ে।

কিন্তু নিজের সন্তানরা কখন কোন কথায় মাকে যে কষ্ট দিয়ে ফেলছে সেদিকে কোন খেয়াল নেই তাদের। তারা সবসময় তাদের নিজের জেদটাকে বড় করে ভাবে। তাদের ঔদাত্যপূর্ণ আচরণ মায়ের মনটাকে ভেঙে চুরমার করে দিচ্ছে সেটাও তারা বুঝতে পারছে না। সন্তানের দেওয়া কষ্ট নিয়ে নিরবে,নিভৃতে চোখের জল ফেলে মা। সন্তানকে তুচ্ছ করে কারো কাছে শেয়ার করতে পারে না,নিজের ব্যর্থতার প্রকাশ পাবে বলে।

সন্তানরা, তোমরা জানো না তোমাদের দেওয়া আঘাতে মা কতোটা কষ্ট পায়। সে কষ্টে আল্লাহর আরশ কেঁপে ওঠে। তবু মা কখনো অভিমান করে থাকতে পারে না। তোমাদের সুখের জন্য যে মা অকাতরে নিজের সুখ বিসর্জন দিতে পারে সে মায়ের মুখের হাসির জন্য তোমাদের একটা Sorry ই যথেষ্ট। আর কিছু না পারো,অন্তত এই ছোট্ট Sorry টার জন্য কার্পণ্য করো না।
লেখিকা একজন সাহিত্যানুরাগী

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন