পিএনএস ডেস্ক : ফেসবুক থেকে লেখালেখিটা মনে হয় উঠেই যাচ্ছে। এখন দেখছি অনেকে লাইভে কথাবার্তা বলছে নয়তো ভিডিও আপলোড করছে। একটি ভালো লেখার চেয়ে একটি হাবিজাবি লাইভে ভিড় বেশি। মানুষ পড়ার চেয়ে ছবি দেখায় এবং শোনায় বেশি আগ্রহী। আমার এক বন্ধুর অনেকদিন খবর নেই। জিজ্ঞেস করেছি কী করো সারাদিন। বলে ইউটিউব দেখি। ইউটিউবে কী দেখ? বলে, সব দেখি। এখন তো অনেকে নেটফ্লিক্স কিনে নিয়েছে। তারাও দেখে। অডিওভিজুয়ালই জনপ্রিয়। বইপত্র গেঁয়ো ব্যাপার হয়ে যাচ্ছে। হিরো আলমের মতো লোকও জনপ্রিয় হয় অডিওভিজুয়ালের কারণে। শুনেছি ঢাকায় একটা ডকুফিল্ম দেখে কাল কয়েকজন ভক্ত শিশুর মতো কেঁদেছে।
মাঝে মাঝে মনে হয় বই লেখার চেয়ে ভালো ছবি বানাতে পারলে ভালো হতো। নাটক সিনেমা দেখে বড় হয়েছি। এখনও দুনিয়ার ভালো ছবিগুলো না দেখে ছাড়ি না। অথচ ছবি বানানোর দক্ষতা আমার একেবারেই নেই। একবার ফরাসি সিনেমার প্রযোজক সংস্থা আমাকে নরমান্ডির বিখ্যাত শিল্পী সাহিত্যিকদের এক বাড়িতে তিন মাসের একটি স্কলারশিপ দিয়ে পাঠিয়েছিল। ওখানে বসে যেন সিনেমার স্ক্রিপ্ট লিখি। তিন মাস কাটিয়েছি। লিখতে পারিনি। আজও লিখতে পারিনি। সবাই সব কিছু পারে না।
(তসলিমা নাসরিনের ফেসবুক স্ট্যাটাস)
পিএনএস/এএ
‘বই লেখার চেয়ে ছবি বানাতে পারলে ভালো হতো’
19-11-2018 01:39PM