এই মুহূর্তে দলমতের ঊর্ধ্বে ওঠে জনতার ঐক্য প্রয়োজন

  29-08-2016 01:52PM

পিএনএস (মো: রুহুল আমিন চৌধুরী) : ভারতবর্ষ বিভক্ত হওয়ার পর আমাদের এই অঞ্চলের নাম তৎকালীন পূর্ববঙ্গ, পূর্ব পাকিস্তান সর্বশেষ ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ও নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লাখ লোকের আত্বহুতি ৩ লাখ মা বোনের ইজ্জুতের বিনিময়ে কবিগুরুর সোনার বাংলা জীবনান্দের রুপসী বাংলা, নজরুলেরবাংলাদেশ সৃষ্টি হয়। । ভাটির দেশ শস্য শ্যামলা সুফলা এই দেশ। বর্ষার পাল তোলা নৌকায় মাঝি মাল্লার জারি-সারি গানের দেশ। অসংখ্য নদীনালা খালবিল, আর দিঘিনালায় ভরপুর এই দেশ। অসংখ্য গাছপালায় ঘেরা ডাহুক, কোকিল শ্যামা ঘুঘুসহ বিভিন্ন ঋাতুতে আগমনি পাখির গানের ঐক্যতান। সর্বসাকুল্যে শান্তি-শৃঙ্খলা, সুখ সমৃদ্ধি এমনকি গোলায় ভরা ধান, গোয়াল ভরা গরু আর পুকুর ভরা মাছ। আরো উল্লেখ্য, জগদ্বিখ্যাত রুপালি ইলিশসহ হাজারো ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক এই সোনার বাংলার প্রতি কার না লোলুপ দৃষ্টি পড়েছে।

মোগল মারাঠা, ব্রিটিশ ও পাকিস্তানসহ এখন বহু ভিন্নদেশী বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠী এই দেশের অর্জিত সম্পদ উৎপাদিত পণ্য নিরলস-নিপুণ হাতে তৈরি বিশ্বের বড় বড় ইমারতও স্থাপনা নির্মাণে সর্বোপরি বস্ত্র শিল্পে নিপুণ হাতে তৈরী পোশাক শিল্পসহ ১৬ কোটি মানুষের ৩২ কোটি হাতের ছোঁয়া নিতে এমনকি প্রাকৃতিক সম্পদ গ্যাস তৈল ও ইউরেনিয়ামসহ পৃথিবী বিখ্যাত প্রতœতাত্বিক সম্পদের সমাহারের প্রতি বিদেশী বেনিয়া ও পরাশক্তির লোলুপ দৃষ্টি পড়েছে। তাই তারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার জন্য খুন খারাবি-মারামারি, রাহাজানি ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে লুণ্ঠন ও পছন্দমত দল ও ব্যক্তিকে ক্ষমতায় বসিয়ে তথাকথিত ধর্মীয় উন্মাদনার রেশ ধরে এই ভুখন্ডটিকে এমনকি এই দেশটি অন্যান্য অকার্যকর রাষ্ট্রগুলোর মতো অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার প্রাসাদ ষড়যন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।

তথাকথিত ধর্মীয় উন্মাদনায় বিভিন্ন স্বার্থ ও অর্থের বিনিময়ে আমাদের মেধাসম্পন্ন যুবসমাজকে ভুল-বাল বুঝিয়ে ফেরোসাস ও অ্যাগ্রেসিভ করে তুলেছে। ইতেমেধ্যে ঐ সকল অনৈতিক চিন্তাচেতনায় একাধিক ঘটনায় অনেক দেশী-বিদেশী লোককে হত্যার মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বের রক্তচক্ষু কিংবা খারাপ-চাহনি অথবা আমাদের প্রতি কুদৃষ্টি নিখিপ্ত হচ্ছে।

এই দিকে সরকার ও বিরোধী দলগুলোর জঙ্গি দমনের ঐক্য নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি ষড়যন্ত্রকারীদের আরো বেশি রকম সুযোগ করে দিচ্ছে। আসুন আমরা পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত রাজনীতি ও দলমতের উর্ধে ওঠে সর্বস্তরের জনতার সমন্বয়ে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ জনতার ঐক্য গড়ে তুলি, যা জাতিকে ভবিষ্যতে সকল ভাল ও মন্দ কাজে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করার পথকে সহজ করে দেবে। এই ব্যাপার সরকার ও সরকারি সকল সংস্থাকে খোলা মনে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন সম্ভব। মনে রাখবেন সময়ের একফোঁড়-অসময়ের দশফোঁড়।

লেখক
পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন