পিএনএস ডেস্ক : প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে ৩৩৯ রান করেও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের কাছে হেরেছে মোহামেডান। শামসুর রহমানের ১৪৪ আর রনি তালুকদারের ১১০ রানের দুর্দান্ত দুটি ইনিংস বৃথা গেছে শেখ জামালের ব্যাটসম্যানদের প্রত্যয়দীপ্ত ব্যাটিংয়ে। ওপেনার প্রশান্ত চোপড়া খেলেছেন ৮৬ (৬০ বলে) রানের এক ইনিংস। তবে শেখ জামালকে রান তাড়া করার ম্যাচে জিতিয়েছে বোলারদের ব্যাটসম্যান হয়ে যাওয়া। সোহাগ গাজী ৮৯ (৬৪ বলে) আর তানভীর হায়দারের ৭৭ (৭২ বলে) রানের ইনিংস রেখেছে মূল ভূমিকা। আটে নেমে ইলিয়াস সানির অপরাজিত ৩৯ দলকে জয়ের বন্দরে ভিড়িয়েছে।
৬৮২ রানের রোমাঞ্চকর এই ম্যাচটি শেখ জামাল জিতেছে মাত্র ১ উইকেটে, ১ বল বাকি থাকতে।
শেখ জামালের ইনিংস দাঁড়িয়েছে চারটি জুটির ওপর। ৩৩৯ রান তাড়া করতে নেমে ফজলে রাব্বী আর প্রশান্ত চোপড়ার ওপেনিং জুটিতে আসে ৫৮ রান। এরপর তৃতীয় উইকেটে প্রশান্ত আর সোহাগ যোগ করেন ৯৬ রান। ষষ্ঠ উইকেটে তানভীর-সোহাগ জুটিতে আসে আরও ৪৮ রান। তবে রান তাড়ায় চূড়ান্ত পরিণতি দেয় তানভীর-সানির সপ্তম উইকেটের ৮৭ রান।
টসটা অবশ্য জিতেছিল শেখ জামাল। কিন্তু মোহামেডান ব্যাটিংয়ে নামার পর প্রশ্ন ওঠে শেখ জামাল অধিনায়ক রাজিন সালেহর সিদ্ধান্ত নিয়ে। শামসুর রহমান আর সৈকত আলীর ওপেনিং জুটিতে আসে ৭৬ রান। সৈকত ৩৯ রানে ফেরার পর শুরু হয় শামসুর আর রনি তালুকদারের তাণ্ডব। এই দুজন ১৭৭ বলে যোগ করেন ১৭৩ রান। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলে শামসুর শেষ পর্যন্ত থাকেন অপরাজিত। ১৫২ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৭টি করে চার-ছয় ।
রনি পেয়েছেন লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে তাঁর চতুর্থ সেঞ্চুরিটি। ৯৯ বলে, ১০টি চার ও ৩ ছয়ে ১১০ রান করেন সম্ভাবনাময় এই ব্যাটসম্যান।
মোহামেডানের বোলাররা ছিলেন বেশ খরুচে। আজিম ৪ উইকেট নিলেও দিয়েছেন ৭০ রান। তাইজুল ৭৬ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। এনামুল হক জুনিয়রও ২ উইকেট নিয়েছেন ৬১ রান দিয়ে।
কদিন আগে আবাহনীর বিপক্ষেও ৩৩৯ রান করে ম্যাচ হেরেছিল মোহামেডান। সেবার অবশ্য পরে ব্যাট করেছিল তারা। আবাহনী করেছিল ৩৬৬। সেই ম্যাচটাও জমেছিল বেশ।
পিএনএস/জে এ /মোহন
৬৮২ রানের রোমাঞ্চকর এক ম্যাচ
21-05-2017 09:09PM