‘কোহলিকেই কোচ-অধিনায়ক সব বানিয়ে দাও’

  21-06-2017 05:56PM

পিএনএস ডেস্ক : যেভাবে অনিল কুম্বলেকে সরে যেতে বাধ্য করা হলো, তা মানতে পারছেন না ভারতের ক্রিকেট সমর্থকেরা। চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে হেরে যাওয়ার ক্ষত টাটকা বলে ক্ষোভটা যেন আরও বেশি হলো। কুম্বলে খেলোয়াড় হিসেবে দীর্ঘদিন ভারতের ক্রিকেটের সৈনিক ছিলেন। ভারতের ক্রিকেটের সবচেয়ে দুঃসময়ে অধিনায়কের ভার নিয়ে দলকে স্থিতি এনে দিয়েছিলেন। আপাদমস্তক নিপাট ভালো মানুষটি কোচ হিসেবেও এনে দিয়েছেন অবিশ্বাস্য সাফল্য। শুধু তাঁর ‘স্টাইল’ কোহলির পছন্দ নয় বলে এবার সরে যেতে বাধ্য করা হলো! ক্ষোভে-বিস্ময়ে ফেটে পড়েছেন ভারতের সমর্থকেরা।

এই ক্ষোভের লাভা স্রোতের দেখা মিলছে টুইটারে। সেখানে কেউ কোহলিকে বলছেন উদ্ধত, স্বার্থপর। কেউ বলছেন, কোহলি কি এখন ভারতের ক্রিকেটের ঈশ্বর? কারও ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য, কোহলিকে ভারতের ক্রিকেটের সর্বেসর্বা করে দাও। সে-ই সব করুক। কোচ, অধিনায়ক, নির্বাচক।
কাসুকুর্তি সুরেশ নামের একজন মন্তব্য করেছেন, ‘যেকোনো খেলোয়াড়ের চেয়ে খেলা আর দেশ অনেক বড়। এখন কোহলিকে সরানোর দাবি তুলছি।’

হিমাদ্রি নামের একজন টুইট করেছেন, ‘কোহলি খুবই উদ্ধত। এই প্রজন্মের খেলোয়াড়েরা খুবই বেয়াদব। তারা সিনিয়রদের কাউকে সম্মান করে না। সব সময় নিজের সুবিধাটা দেখে।’

কার্তিকেয়ানের মন্তব্য, ‘খেলোয়াড়ের প্রথম যোগ্যতা হলো কোচের প্রতি শ্রদ্ধা। এখন ওর অনেক টাকা, অনেক গোমড়। এসব কোহলি বলেই সম্ভব।’

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, কোচ হিসেবে কুম্বলে নাকি খুবই কড়া। এতটুকু ছাড় দেন না। এটাই নাকি কোহলিসহ কিছু তারকা খেলোয়াড়ের পছন্দ নয়। এ সূত্র ধরে সৈয়দ হানজলা রহমান টুইট করেছেন, ‘ব্যাপারটা দাঁড়াল এমন, আপনি আপনার টিউশন শিক্ষককে ছাঁটাই করে দিলেন, কারণ তাঁর অপরাধ তিনি খুব সকালে পড়াতে আসেন।’

কেউ কেউ বলছেন, কোহলিকে অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক। অধিনায়কের পদে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ফিরিয়ে আনার পক্ষে কেউ কেউ। কেউ নতুন অধিনায়ক হিসেবে অজিঙ্কা রাহানের নামও প্রস্তাব করেছেন।

কোহলির পক্ষেও যে কেউ বলছেন না, তা নয়। অনেকে বলছেন, পুরো ঘটনার শুধু একটা দিক জেনে মন্তব্য করা ঠিক নয়। এ ব্যাপারে শুধু কুম্বলের দিকটাই সবাই দেখছে। কোহলিরও নিশ্চয়ই কোনো যুক্তি বা বক্তব্য আছে। দেবানসি নামের একজন যেমন টুইট করেছেন, ‘আমিও কারও কারও কাজের ধরনে স্বস্তিবোধ করি না। তার মানে কি আমি খারাপ হয়ে গেলাম? দুটি ভালো মানুষের নিজেদের মধ্যে কি ভিন্নমত থাকতে পারে না? এর মানে কি একজনকে এর জন্য খারাপ হতেই হবে? কুম্বলের পদত্যাগের জন্য আমি কোহলিকে ঘৃণা করি না, কিন্তু কুম্বলেকেও শ্রদ্ধা করি।’

বিষয়টি স্পর্শকাতর বলেই হয়তো ভারতের সাবেক খেলোয়াড় বা তারকারা এ নিয়ে এখনো তেমন সরব নন। তবে ভিনদেশিদের তো সেই দায় নেই। ডিন জোন্স ক্রিকেটের সেই চিরকালীন প্রশ্নটা তাই আবার করলেন, ‘তাহলে ক্রিকেটে বস কে? কোচ, নাকি অধিনায়ক?’

পিএনএস/জে এ/মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন