‘বোলিংয়ে আরো তীক্ষ্ণতা আনতে হবে’

  16-10-2017 11:52AM

পিএনএস ডেস্ক: টেস্টের ধারাই অব্যাহত রইলো ওয়ানডেতে। কিম্বারলিতে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি উইকেটও শিকার করতে পারেনি বাংলাদেশ। ফলাফল লজ্জাজনক হার। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নিজেদের নিয়ন্ত্রণহীন বোলিংকেই এর জন্য দায়ী করলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।

কিম্বারলির ডায়মন্ড ওভালে উইকেট যে ব্যাটিং বান্ধব হবে সেটার ধারণা পেয়েছিলেন মাশরাফিবাহিনী। তবে উইকেটের আচরণ অনুযায়ী বোলিং করতে না পারার আক্ষেপ ঝড়েছে মাশরাফির কণ্ঠে। তিনি বলেন, “আমি মনে করে উইকেট অনেক ভালো ছিল কিন্তু আমরা উইকেট বুঝে বল করতে পারিনি।”

মাশরাফি বলেন, “আমাদের সুরক্ষিত বোলিং করতে শিখতে হবে এবং আরো তীক্ষ্ণতা আনতে হবে। টেস্ট আর একদিনের খেলা একদম ভিন্ন। আমরা যদি দুই প্রান্ত থেকেই রান আটকাতে পারি তাহলে অবশ্যই উইকেট আসবে।”

কাল টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মুশফিকুর রহিমের শতকে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭৮ রান করে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ অধিনায়কের কণ্ঠে মুশফিকের প্রশংসা ঝরছিল এইভাবে, “মুশফিক অসাধারণ খেলেছে। আর যেহেতু তামিম ফিট ছিল না, তাই আমরা অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের উপরে খেলাতে চাইছি। এই জন্য সাকিবকে তিন নম্বরে দেখা গেছে। অন্যদিকে মোস্তাফিজের ইনজুরির কারণে আমাদের বোলিং লাইনআপে বাড়তি পেসার যুক্ত করতে হয়েছে।”

তবে পরের ম্যাচেই তামিমের ফেরার ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেছেন মাশরাফি।

এমন নখদন্তহীন পেস আক্রমণ সাম্প্রতিক অতীতে কবে ছিলো তা মনে করতে আপনাকে ভীষণ বেগ পেতে হবে। গত কয়েক বছরে সময়ে বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশের যে উত্থান তার পেছনে পেসারদের অবদান উপরের দিকেই। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েই যেন খেই হারিয়ে গেল পেসারদের। এর আগে দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজেও পেসারদের দেখা গেছে উইকেটের জন্য হাহাকার করতে। তবে ওই দুটো সিরিজে পিচের সুবিধা নিয়ে স্পিনাররা মান বাঁচিয়েছেন। কিন্তু বিদেশের মাটিতে ফুটে উঠছে বোলিং ডিপার্টমেন্টের দৈন্য দশা।এর আগে নিউজিল্যান্ড সফরেও একই অবস্থা দেখা গেছে পেসারদের। অথচ মোস্তাফিজ, রুবেল, মাশরাফি আর তাসকিনে ভারসাম্যপূর্ণ একটি পেস আক্রমণই পেয়েছিল বাংলাদেশ। দেশে বা বিদেশে যে কোন দলকে চ্যালেঞ্জে ফেলতে পারতো সেই পেস অ্যাটাক। নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইট ওয়াশ করে পেস অ্যাটাকের উত্থান, এরপর ভারতে মোস্তাফিজ-তাসকিনের ধসিয়ে দেয়া, পাকিস্তানকে হোয়াইট ওয়াশ, দক্ষিণ আফ্রিকাকে সিরিজ হারানো সবই হয়েছে পেসারদের হাত ধরে।

কিন্তু হঠাৎ করেই যেন কি হয়ে গেল! খেই হারাতে শুরু করলো বাংলাদেশের পেস ডিপার্টমেন্ট।টাইগারদের পেস ডিপার্টমেন্টের অবিশ্বাস্য উত্থান হয়েছিল জিম্বাবুয়ের সাবেক পেসার হিথ স্ট্রিকের হাত ধরে। হিথ কোচ হয়ে আসার পর যেন যাদুর পরশে জেগে ওঠে পেসাররা। হিথ স্ট্রিকের বিদায়ের পর কোচ হয়ে এলেন এক সময়ের বিশ্বসেরা পেসার কোর্টনি ওয়ালশ। এবার আশার বেলুন আরো ফুলে ফেঁপে উঠলো।

কিন্তু ফলাফল আসলো না। বরং ওয়ালশ আসার পর থেকেই পেস আক্রমণ ধার হারাতে শুরু করলো। এই সফরে যা চূড়ান্ত রূপ পেল। আজকের প্রথম ওয়ানডেতে তো বাংলাদেশী পেসারদের নিয়ে রীতিমত ছেলে খেলা করলেন দুই প্রোটিয়া ওপেনার। টেস্ট সিরিজেও দেখা গেছে একই রুপ। কোনো বোলারই দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের এতটুকু বিপদে ফেলতে পারেননি।

পিএনএস/আনোয়ার





@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন