কারণ তাহলে এ-ই!

  16-10-2017 06:58PM

পিএনএস ডেস্ক : কাল সাতজন বোলার ব্যবহার করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু প্রতিপক্ষের ব্যাটিংয়ে তেমন আঁচড়ই কাটতে পারেননি বোলাররা। বাংলাদেশের বোলারদের নির্বিষ হয়ে পড়া ভাবিয়ে তুলছে সবাইকে।

কেন এমন হচ্ছে। অসুখের দাওয়াইটা কী? এসব জানতে শরণ নিয়েছিল অভিষেক টেস্টে বাংলাদেশের কোচের দায়িত্ব পালন করা সরোয়ার ইমরানের। তাঁর ক্ষুরধার বিশ্লেষণে উঠে এসেছে বেশ কিছু কারণ।

কালকের ব্যর্থতা ইমরানের আতশকাচে ধরা পড়েছে এভাবে, ‘শুরুতেই বোলিংটা একটু রক্ষণাত্মক হয়ে গেছে। প্রথম থেকে অফ কাটার চেষ্টা করেছে বোলাররা। তারা সিমে হিট করতে পারত। লেংথে বোলিং করতে পারত। যে বলটায় লাইন-লেংথ ঠিক ছিল, ওরা রান নিতে পারেনি। বেশির ভাগ সময় সিঙ্গেল নেওয়ার চেষ্টা করেছে। যে বলটা ওভার কিংবা শর্ট পিচ হয়েছে, সেটাই মেরেছে। ৮০ শতাংশ গুড লেংথে বোলিং করা উচিত আমাদের বোলারদের।’

বোলারদের ব্যর্থতার পেছনে আরও কিছু বিষয় খুঁজে পেয়েছেন ইমরান, ‘আমাদের বোলাররা ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করে না যে একটা জোরে শর্ট বল করে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানকে ভড়কে দেবে। দেখলাম অনেকে গায়ের জোরে বোলিং করছে।

কিন্তু ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটারের ওপরে যাচ্ছে না। এই গা জোরি বোলিংয়ের কোনো মানে হয় না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটা কোনো গতিই না। পেস-বাউন্সের চেয়ে আমাদের অ্যাকুরিসি ঠিক করতে হবে আগে। স্পিনে তো কিছুই নেই। কোনো টার্ন নেই। এসব উইকেটে বুদ্ধি করে বোলিং করতে হবে। লাইন-লেংথ টাইট রেখে যদি গতিতে বৈচিত্র্য আনা যেত, ওদের প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা অবশ্যই ভুল করত।’

বোলারদের ধারাবাহিক ব্যর্থতার পেছনে প্রস্তুতিতেও ঘাটতি দেখছেন ইমরান। তাঁর মনে হয়েছে, চোটে পড়ার ভয়ে অনেক বোলার যথেষ্ট সময় দেন না নেটে। ইমরান বললেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেন, কিন্তু নির্দেশনার অপেক্ষায় থাকেন। তাহলে তো হবে না। নেটে দেখি ৪-৫ ওভার বোলিং করে অনেকে। নিয়মিত ১০ ওভার করে বোলিং না করলে ভালো কিছু শিখতে পারবে না। চোটের সমস্যা থাকবেই।

কিন্তু চোটে পড়ার ভয়ে যদি কম বোলিং করে, তাহলে উন্নতি করতে পারবে না।’

ইমরান খোলাসা করেননি। তবে ক্রিকেটারদের এখন অনেক ব্যস্ত সূচি। জাতীয় দলের বাইরে আগামী মাসের শুরুতে বিপিএলও আছে। বেশি হিসাব করতে গিয়ে কি বোলারদের হোমওয়ার্ক ঠিকঠাক হচ্ছে না?

পরীক্ষার আগে ঠিকমতো প্রস্তুতি না নিলে ডাব্বা তো মারতে হবেই!
১৮ অক্টোবর পার্লে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ঘুরে দাঁড়াতে হলে ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে বাংলাদেশের। যদিও এখন বোলারদের নিয়ে উদ্বেগটাই বেশি। সিরিজে ফিরতে হলে দুর্দান্ত কিছু করতেই হবে তাসকিন-রুবেলদের। ফিরিয়ে আনতে হবে নিজেদের পুরোনো ধার।

পিএনএস/জে এ /মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন