দুর্বার ইরানের কাছে আত্মসমর্পন মেক্সিকো

  18-10-2017 09:25AM

পিএনএস ডেস্ক: মেক্সিকোকে ২-১ হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গেল ইরান। শেষ আটে তাদের প্রতিপক্ষ স্পেন, যারা শেষ মুহূর্তের গোলে এ দিন ছিটকে দিল ফর্মে থাকা ফ্রান্সকে।

ভারতের মারগাওতে মঙ্গলবার দুর্দান্ত রণনীতির প্রদর্শন দেখাল ইরান। ম্যাচের শুরুর দিকেই এগিয়ে গিয়েছিল তারা। মেক্সিকোর দুর্বল রক্ষণের পুরোপুরি ফায়দা তুলে সপ্তম এবং একাদশতম মিনিটে গোল করেন যথাক্রমে মোহাম্মদ শরিফি এবং আলায়ার সায়াদ। যদিও শুরুতে আক্রমণের ঝড় তুলেছিল মেক্সিকোই। অনেকগুলি সুযোগ তৈরি করেও তারা গোল করতে পারেনি মূলত ইরানের দুর্ভেদ্য রক্ষণ এবং গোলকিপার আলি গোলাম জাদের ক্ষিপ্রতার জন্য। ৩৭তম মিনিটে তারা একটি গোল শোধ করে। গোলটি করেন রবার্তা দে লা রোসা।

দু’গোল খাওয়ার পরে মেক্সিকো নিজেদের মধ্যে ছোট ছোট পাস খেলে ম্যাচে ফিরে আসার জন্য ঝাঁপায়। কিন্তু তাদের বেশির ভাগ প্রচেষ্টাই আটকে যাচ্ছিল ইরানের দেয়ালে। পাঁট ডিফেন্ডার নিয়ে রক্ষণ ভারী করে নেমেছিল তারা। যত বার রক্ষণ ব্যর্থ হয়েছে, শেষ প্রহরী হিসেবে ইরানের রক্ষাকর্তা হয়ে দাঁড়িয়েছেন গোলরক্ষক জাদে। ইরানের রণনীতিও সুপারহিট। মেক্সিকো যে আক্রমণ করে খেলতে ভালোবাসে, সেটা তারা জানত। তাই সতর্ক ভঙ্গি নিয়ে রক্ষণ জমাট করার পরিকল্পনা নিয়েছিল তারা। এটাও তারা জানত, মেক্সিকোর রক্ষণ দুর্বল। তাই সুযোগের অপেক্ষায় থেকে কাউন্টার অ্যাটাকে তাদের চাপে ফেলার নীতি নিয়েছিল ইরান। সেই রণনীতিই জিতিয়ে দিল এশিয়ার অন্যতম সেরা শক্তিকে।

ইরানের প্রথম গোলটি পেনাল্টি থেকে। মেক্সিকোর ডিফেন্ডার আদ্রিয়ান ভার্কোয়েজ বক্সের মধ্যে মহম্মদ ঘাদেরিকে ফেলে দেওয়ায় পেনাল্টির আদেশ দেন রেফারি অ্যান্থনি টেলর। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি শরিফি। চার মিনিট পরেই সায়াদের গোল। পিছিয়ে পড়ে মেক্সিকো আক্রমণের ঝাঁঝ আরো বাড়িয়ে দিয়েছিল কিন্তু ইরানের জমাট রক্ষণ এবং দুঃসাহসিক গোলকিপারে সব চেষ্টা ভণ্ডুল হয়ে যায়।

ইরানের দুরন্ত জয়ের দিনেই আবার মালির কাছে পাঁচ গোল খেয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেল ইরাক। মঙ্গলবার গোয়ায় কোয়ার্টার ফাইনালে সহজেই উঠে যায় ২০১৫ অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের রানার্সরা। জোড়া গোল লাসানা এনদিয়া-র। কোয়ার্টার ফাইনালে মালি মুখোমুখি হবে ঘানা অথবা নিজার-এর।

ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট ছিল মালির। ২৫ মিনিটে হাদি ড্রামে এগিয়ে দেন মালি-কে। সালাম জিড্ডোউ বাঁ দিক থেকে দুরন্ত পাস বাড়ান ড্রামেকে। মার্কিং না থাকায় সহজেই টুর্নামেন্টের দু’হাজারতম গোল করেন ড্রামে। এ ছাড়া ইরাকের গোলদাতা ফোড কোনাতে এবং সেমে কামারা। ইরাকের এক মাত্র গোলটি করেন দ্বিতীয়ার্ধে আলি করিম।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন