ইমরুল -মুশফিকের হাফ সেঞ্চুরি, ফিরে গেলেন ইমরুল

  18-10-2017 08:29PM

পিএনএস ডেস্ক : প্রোটিয়াদের ছুড়ে দেওয়া রানের পাহাড় টপকাতে গিয়ে ভালো শুরুর পর বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ। সেই বিপদ থেকে দলকে উদ্ধার করলেন সমালোচনার কেন্দ্রে থাকা ওপেনার ইমরুল কায়েস এবং মুশফিকুর রহিম।

ক্যারিয়ারের ১৪তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ইমরুল। গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর নিউজিল্যন্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ হাফসেঞ্চুরি (৫৯) পেয়েছিলেন তিনি।গত ম্যাচের শতকের পর এই ম্যাচেও হাকিয়ে নিলেন হাফসেঞ্চুরি মুশফিকুর রহিম এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুজনের জুটিতে এসেছে ৬৬ রান। বাংলাদেশ ২৯ ওভারে ৩ উইকেটে ১৬২। জয়ের জন্য চাই আরও ২১৮ রান।

রান তাড়ার লক্ষে ব্যাট করতে নেমে ৪৪ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা তামিম ইকবাল এবং ইমরুল কায়েস। তামিম ২৫ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ২৩ রান করে প্রিটোরিয়াসের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে গেলে ভাঙে এই জুটি। তিন নম্বরে নামা লিটন দাসও কিছু করতে পারেননি। ১২ বলে ১ চার ও দর্শনীয় ১টি ছক্কায় ১৪ রান করে ফেলুকওয়ায়োর শিকার হন তিনি।

দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে আগে ব্যাট করে সাড়ে তিন শ রান করা মোটেও অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়। কিন্তু চলতি সফরে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের ফর্ম এই টার্গেটকেই কঠিন করে ফেলেছে। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ডি ভিলিয়ার্সের বিধ্বংসী সেঞ্চুরি আর হাশিম আমলার ব্যাটিং দাপটে ৫ উইকেটে ৩৫৩ রান তুলে প্রোটিয়ারা। রুবেলের ৪ উইকেট আর সাকিবের ২ উইকেটে রানবন্যা আটকানো সম্ভব হয়নি।

ইনিংসের শুরু থেকে সাবলীলভাবেই খেলছিল প্রোটিয়ারা। আরেকটি শতরানের ওপেনিং জুটি গড়ার আগেই আঘাত হানেন বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সাকিবের ঘূর্ণিবলে লাইন মিস করে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন আগের ম্যাচে দেড় শতাধিক রান করা কুইন্টন ডি কক (৪৬)। ৯০ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর দ্বিতীয় ব্রেক থ্রু টিও এল একই ওভারে। দুর্দান্ত ফ্লাইট ডেলিভারিতে অধিনায়ক ফাফ ডু-প্লেসিসের স্টাম্প উড়ে গেল। কোনো রান না করেই ফিরতে হলো ডু-প্লেসিসকে।

৯০ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ১৩৬ রানের জুটি গড়ে বিপদ সামাল দেন ডি ভিলিয়ার্স এবং হাশিম আমলা। ওই মুহূর্তে একটি ব্রেক থ্রু দরকার ছিল। হাশিম আমলাকে (৮৫) মুশফিকুর রহিমের তালুবন্দি করে সেই ব্রেক থ্রু এনে দেন রুবেল হোসেন। কিন্তু কামব্যাক ম্যাচে ঠিকই ক্যারিয়ারের ২৫তম সেঞ্চুরি তুলে নেন বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স। ৬৮ বলে ঝড়ের গতিতে সেঞ্চুরির পর রুবেলের বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে করেন ১০৪ বলে ১৫ চার ৭ ছক্কায় ১৭৬ রান! এরপর ডুমিনি (৩০) আর প্রিটোরিয়াসকেও (০) শিকারে পরিণত করেন রুবেল।

পিএনএস/জে এ /মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন