পাকিস্তানের জন্য দুঃসংবাদ!

  20-10-2017 11:31AM

পিএনএস ডেস্ক: মোহাম্মদ হাফিজ, পাকিস্তানের এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার পরিচিত অলরাউন্ডার হিসেবে। ব্যাটিং নিয়ে কোনো প্রশ্নের মুখে পড়েননি তিনি। তবে বোলিং নিয়ে বার বারই পড়ছেন বিপদে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে আবারো প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে তার বোলিং।

তৃতীয় ওয়ানডেতে হাফিজের বোলিং অ্যাকশন দেখে সন্দেহ হয় আম্পায়ারদের। ম্যাচে ৮ ওভার বল করে ৩৯ রানে একটি উইকেট শিকার করেন তিনি।

অবশ্য আম্পায়াররা বোলিং অ্যাকশন নিয়ে আপত্তি জানালেও চলতি সিরিজে বোলিং করে যেতে আপত্তি নেই। এই সিরিজের বাকি দুই ম্যাচেও তাই বল হাতে দেখা যাবে হাফিজকে। আগামী ১৪ দিনের মধ্যে আইসিসির পরীক্ষাগারে অ্যাকশনের পরীক্ষা দিতে হবে তাকে। সেখানে বোলিং ত্রুটিযুক্ত প্রমাণিত হলে বোলিং থেকে নিষিদ্ধ হবেন এই ক্রিকেটার।

এর আগে ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো প্রশ্নবিদ্ধ হয় হাফিজের বোলিং অ্যাকশন। অবশ্য সেটি দেশটির ঘরোয়া আসর পাকিস্তান সুপার লিগ- পিএসএলে। ওই বছরেরই নভেম্বর প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রশ্নবিদ্ধ হয় তার বোলিং অ্যাকশন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে তার অবৈধ বোলিং দেখে আম্পায়াররা রিপোর্ট করায় দিতে হয় অ্যাকশনের পরীক্ষা। তাতে অবৈধ অ্যাকশনের কারণে নিষিদ্ধ হন বোলিংয়ে।

২০১৫ সালের এপ্রিলে নিজেকে শুধরে আবারও অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন। সাফল্যের সাথে উতরেও যান। কিন্তু দুই মাস পরই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গোল টেস্টে আবারও প্রশ্নবিদ্ধ হয় তার বোলিং। বোলিং অ্যাকশন প্রমাণিত হয় অবৈধ। এক বছরের মধ্যে দুইবার অ্যাকশন অবৈধ প্রমাণিত হওয়ায় ১২ মাসে নিষেধাজ্ঞা পান। প্রায় ১৬ মাস পর আবারও বোলিংয়ের অনুমতি পান অ্যাকশন শুধরানো হাফিজ।

কিন্তু দুর্ভাগ্য, বছর ঘুরতে আবারও আতশ কাঁচের নিচে মোহাম্মদ হাফিজ।

ব্যাটেই জবাব দিলেন ইমাম
ব্যাটেই জবাব দিলেন ইমাম-উল-হক। পাকিস্তান ওয়ানডে দলে তার অন্তর্ভুক্তিতে প্রধান নির্বাচক ‘চাচা’ ইনজামাম-উল হকের কৃতিত্ব ফলাও করে প্রচার পেয়েছে গণমাধ্যমে। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিষেকেই তিনি চমৎকার ব্যাটিং কারিশমায় জবাব দিলেন সাম্প্রতিক সমালোচনার। বুধবার আবুধাবিতে হাসান আলীর পাকিস্তানের ইতিহাসের দ্রুততম ৫০ ওয়ানডে উইকেট শিকারের মাইলফলক দখলে নেয়ার ম্যাচে ইমাম বিরল কৃতিত্ব রচনায় লঙ্কানদের সিরিজ হারও নিশ্চিত করেন। দেশটির দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিষেকেই তার সেঞ্চুরির কৃতিত্ব টিকে থাকার খেলায়ও অসহায় আত্মসর্মপণ করেছে সফরকারীরা।

তৃতীয় ওয়ানডেতে লঙ্কানদের ৭ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েই ৫ ম্যাচের সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে পাকিস্তান। ইমামের শতকে দলটি অনায়াসেই টপকে গেছে হাসান আলীর পেস তাণ্ডবে বিধ্বস্ত সফরকারীদের ২০৮ রানের সংগ্রহ। ৪৫ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে সরফরাজ অ্যান্ড কোং নিশ্চিত করেছে ওয়ানডে ফরম্যাটে টানা সপ্তম জয়। তাদের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে অসহায় লঙ্কা সিরিজ থেকে ছিটকে যাওয়ার পাশাপাশি হেরেছে টানা দশম ওয়ানডে।

৫ ম্যাচের সিরিজের তৃতীয় খেলায় সুযোগ পেয়েই বাজিমাত করেন ইমাম-উল হক। সেলিম এলাহির পর দ্বিতীয় পাকিস্তানি হিসেবে সীমিত ওভারের ফরম্যাটের ক্যারিয়ারের সূচনাতেই শতক হাঁকান কিংবদন্তি ইনজামাম-উল হকের ‘ভাতিজা’। বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান ইমাম-উল হক ১২৫ বলে পৌঁছে যান স্মরণীয় সেঞ্চুরির ঘরে। ২টি ছক্কা ও বাউন্ডারি হাঁকান ৫টি।

টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে লঙ্কার ব্যাটসম্যানরা পড়েন হাসান আলীর পেস তাণ্ডবের মুখে।

৩৪ রানে পাকিস্তানি পেসারের ৫ উইকেট শিকারে ১০ বল অবশিষ্ট থাকতেই ২০৮ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীদের ইনিংস।

৪৪তম ওভারের প্রথম বলে ধনঞ্জয়াকে আউট করে পাকিস্তানের দ্রুততম বোলার হিসেবে ওয়ানডেতে ৫০ উইকেট পূর্ণ করেন হাসান। সীমিত ওভারের চতুর্থ দ্রুততম পঞ্চাশের পজিশনও দখলে নিয়েছে পাকিস্তানি পেসারের কৃতিত্ব। ২৪ খেলায় ৫০ উইকেটে হাসান আলী পেছনে ফেলেন কিংবদন্তি পেসার ওয়াকার ইউনুসের ২৭ ওয়ানডের ফিফটিকে।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন