মাশরাফির এক ঢিলে দুই পাখি

  24-04-2018 03:56PM

পিএনএস ডেস্ক : মুঠোফোনের অপর প্রান্তে বাতাসের শোঁ শোঁ শব্দ। সেই শব্দে হারিয়ে যাচ্ছিল মাশরাফি বিন মুর্তজার কণ্ঠ। অনুমান করে নিতে অসুবিধা হয়নি দুরন্ত গতিতে ছুটে চলা গাড়ির জানালার কাচ নামানো। মাশরাফির ঢাকা-নড়াইল-খুলনা ভ্রমণটা এমন গতিময়ই হয় সব সময়।

খুলনায় আজ থেকে শুরু বিসিএলের শেষ পর্বের ম্যাচে উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে মাঠে নামবেন মাশরাফি। কিন্তু কাল পর্যন্তও তিনি দলের সঙ্গে যোগ দেননি। দুপুরে শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে এ নিয়ে জানতে চাইলে দক্ষিণাঞ্চল অধিনায়ক নুরুল হাসান এমন একটা হাসি দিলেন যেন এটাই স্বাভাবিক। মাশরাফি বলে কথা!

ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত গাড়িতে। এরপর স্পিডবোটে ১৫-২০ মিনিটে পদ্মা পাড়ি দিয়ে কাওড়াকান্দি ঘাটে পৌঁছে আবার গাড়ি। এবার সোজা নড়াইল। ম্যাচের চার দিন নড়াইলের নিজ বাড়ি থেকে এসে খেলবেন মাশরাফি। প্রতিদিনের খেলা শেষে ফিরে যাবেন বাড়ি। পরদিন আবার আসবেন। ২০০৯ সালের চোটের পর জাতীয় লিগ, বিসিএল মিলে আজকের আগ পর্যন্ত ছয়টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন। এর মধ্যে সর্বশেষ তিনটিই খুলনায় এবং তিনবারই মাশরাফি খেলেছেন এভাবে নড়াইল-খুলনা যাওয়া-আসা করে।

কিন্তু প্রতিদিন প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূর থেকে এসে খেলাটা তো ঝুঁকিপূর্ণও! আর কিছু না হোক যানজটেও তো পড়তে পারেন। মুঠোফোনে কথাটা বলতেই মাশরাফি পাল্টা যা বললেন, এরপর আর কোনো কথা থাকে না, ‘আমরা তো ঢাকা থেকে বিকেএসপি গিয়েও খেলি। যানজটের কারণে অনেক সময় ৪০ মিনিটের পথ ৪-৫ ঘণ্টাও লেগে যায়। নড়াইল থেকে খুলনা যাওয়া-আসা এর চেয়ে অনেক সহজ। সময়ও কম লাগে। এক ঘণ্টা মাত্র। সকাল ৭টায় বাড়ি থেকে বের হয়েও ওয়ার্মআপ ধরতে পারি। আমার তো মনে হয় ঢাকায়ই ঝুঁকি বেশি।’

খুলনায় খেলাটা মাশরাফির কাছে এক ঢিলে দুই পাখি মারার মতো। খেলা তো আছেই, নড়াইলে থেকে খেললে বাবা-মা, আত্মীয়স্বজন আর বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গেও কয়েকটা দিন কাটানো যায়। তা ছাড়া নড়াইলে এখন নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের বিস্তৃত কার্যক্রম। কিছুটা সময় সেখানেও দেবেন।

ঢাকার যান্ত্রিক জীবন বরাবরই বিকর্ষণ করে তাঁকে। চিত্রাপাড়ের এত কাছে এসে যদি মাশরাফি তিন-চারটা দিন বিশুদ্ধ অক্সিজেন নিতে চান তো ক্ষতি কী!-প্রথম আলো

পিএনএস/জে এ /

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন