লাইভে এসে নাসিরের ‌গার্লফ্রেন্ডের কান্না!

  02-07-2018 12:39PM

পিএনএস ডেস্ক : আইডল হিসেবে ভাবা হয় বাংলাদেশের ক্রিকেট তারকাদের। কিন্তু সেখানে একের পর এক স্ক্যান্ডেলের সাথে জড়িয়ে পড়ছে তারা। প্রথমে রুবেল হোসেন, এরপর তারই পথ ধরে সাব্বির রহমানকে নিয়েও স্ক্যান্ডাল নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে ঝড় উঠে। এবার বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বর্তমান সময়ের আলোচিত এক খেলোয়াড়ের সাথে সম্পর্ক রয়েছে তরুণীর এমন দাবিকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে তোলপাড়।

ফেসবুক লাইভে এসে সেই তরুণী বলেন, আজকে এন্টারটেইন করার জন্য আসেনি। কিছু সত্য কথা তুলে ধরার জন্য আসছি। হয়তো বা সব ক্লিয়ারলি বলতে পারব না, হয়তো বা সব বলাও যাবে না। আমি হ্যাপির মতো বোকা না, যে নিজেকে কালার করে বলে ফেলব।ঠিক আছে?

আপনারা তো অনেক চালাক , ক বলতে কোলকাতা বুজবেন।রাইট? বুজার ট্রাই করিয়েন, আমিও বুজানোর ট্রাই করব।
চেহেরা দেখছেন আমার? চেহেরা দেখছেন? চারদিন ঘুমাই না, খাই না। একা একা থাকি মানুষ যেখানে। ফ্রেন্ডস-আত্মীয়স্বজন ছাড়া কেউ খোঁজ নেবার মতো কেউ নাই। আমার চোখের পানি তাই নাটক না, প্লিজ।গ্লিসারিন ইউজ করি নাই, মুভি শ্যূটিংয়ের কাজের শুরু করি নাই। জানি না আমি এক্টিং করতে।বললাম তো নাচতে পারি, গান গাইতে পারি। এক্টিং করতে জানি না। কখনো এক্টিং শিখি নাই।

সারাটাদিন কাকে নিয়ে মেসেজ দেই, কাকে নিয়ে স্ট্যাটাস দেই? দেই তো কাকে নিয়ে নাকি? জীবনে সেকেন্ড টাইম ভালোবাসাটা ভুল হয়ে গেছিল, ফার্স্ট টাইম রিলেশন করেছিলাম, রিলেশনটা হয়ে গেছে আমাদের একই এলাকার ছেলের সাথে। ছেলেটা নেশা করতো ইয়াবা-টিয়াবা খাইতো, ফেনসিডিল খাইতো। সিমপ্যাথি কাজ করছিল ওর জন্য। খুব ভালো ছিল ছেলেটা, চরিত্রের দিক দিয়ে সব কিছুর দিক দিয়ে। দেখতে শুনতে অনেক সুন্দর। আমাদের এলাকার সবাই ওকে শাহরুখ করে বলতো। শাহরুখের সাথে অনেক চেহেরার মিল আছে। ও আমাদের চাচাতো ভাইদের ফ্রেন্ড। আমাকে অনেক সাপোর্ট করতো। কেউ কোনো কিছু বললে গিয়ে প্রতিবাদ করতো। অনেক রেসপেক্ট করতো আমাকে। আব্বু-আম্মুর সাথে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। ডেটস হুয়াই ওর আমাদের সাথে মাত্র কন্টাক্টটা হয়ে গেছিল। ফ্রেন্ডস হিসেবে কথা বলতাম। আমি যে দুই বছর ওই বাসায় ছিলাম, পড়ছি। সিমপ্যাথি কাজ করতো।



ও এ্যনি নামের একটা মেয়েকে লাভ করতো। সেই মেয়ে সেভেন ইয়ার রিলেশন করছে। সেভেন ইয়ার রিলেশন করার পরে ছেলেটাকে ওতো কিছু করতো না। তখন ও ভালো ছিল অনেক। ভালো স্টুডেন্ট ছিল। ও বলছিল যে কিছুদিন দাড়াও, আমি তো কেবল অনার্সে পড়ি এ্যনি। তুমি হচ্ছে আমাকে একটু সময় দাও। আমি একটা সরকারি জবটব করি। ওর বাবা চেয়ারম্যান ছিল। আওয়ামী লীগই করে। মোটামোটি ছেলেটার ফ্যামিলি ভালো। তো এ্যনি হারামজাদি। ও অপেক্ষা করে নাই। লোভি ছিল। ফ্যামিলি তো ভালো না। ফ্যামিলির ব্যাকগ্রাউন্ড নাই। তো ধানমন্ডীর কোনো একটা প্রাইভেট ব্যাংকের করকর্তাকে ও বিয়ে করে। প্রেম-টেম কইরা। তলে তলে ঢাকা চলে আসে এ্যনি গাইবান্ধা থেকে ‍জিকুকে ছেক দিয়ে। চলে আসে।

দেন জিকুর লাইফটা ওলটপালোট হয়ে যায়। ২০১২-১৩ সালের দিকে। জিকু পুরা ছেকা খায়। আমাদের এলাকার সবাই জানে। ভেঙে পড়ে, ও আমাদের বাসায় মানে দাদার বাসায় আসতো। আমি যখন যেতাম দেখতাম। চাচাতো সাথে কথা বলতেছে, কান্না করতেছে। ছেলেটা খুব ভালো। আমি ওর ধ্বংস দেখছি। আজ যে পরায়ে আমি আছি যেটা আমি দেখছি আমার এক্স বয়ফ্রেন্ডকে। কতো ভালো ছেলে। একটা মেয়ের জন্যমেয়েকে ভালোবেসে নষ্ট হয়ে গেছে। আমি হয়তো নেশা করতে পারব না। আমি হয়তো জিকুর মতো নেশা করতে পারব না। আমি নিজেকে জাস্ট শেষ করে দিব। অনেকবার ট্রাই করছিলাম মরার জন্য। মরতে পারি নাই। হয়তো কাউকে ভালো না বেসে মরতে চাইছি তো বাবা-মায়ের ওপর রাগ করে ওজন্য মরতে পারি নাই। কিন্তু আর আমার বাঁচার শক্তি নাই। প্রতিটা মুহূর্ত অপমান হওয়া, ছোট হওয়া, নিজেকে আর কতোখানি ছোট করব ওর কাছে? ও ক্রিকেটার হইছে তো কি হইছে?

আমিও একটা মানুষ। আমি ওকে ডাকি নাই, ও নিজে আসছে আমার কাছে। এসে ফ্রেন্ডশিপগিরি করতে আসছে। ছেকা খেয়ে আসছে। কোন প্রেসিডেন্টের নাতনীর, কোন হচ্ছে মন্ত্রীর বেটির সেই শেখা খেয়ে আসছে। সেই শেখা খেয়ে, আমি হয়তো ভাবছি ও ছেকা খেয়ে আসছে, জিকুও তো এরকম ছিল। তাই না ফ্রেন্ডশিপ করছি। কিছু বলি নাই, চুপচাপ, মুখ বন্ধ করে ছিলাম এতোদিন। কিন্তু আর ধৈয্য ধরতে পারতেছি না। আমি নাম বলবো না ওর। আপনারা ওর নাম বুজে নেন। আমি কারও নাম বলব না। আমি হ্যাপি না। আমি কারও নাম বলবো না। কিন্তু এটুকুই বলব ও আমাকে ভালোবাসাইছে, ভালোবাসতে বাধ্য কছে যেটা করার জন্য যা যা করার করছে।

আজ ও স্বপ্ন দেখে মন্ত্রীর, হচ্ছে কি হবে? জামাই হবে। প্রেসিডেন্টের নাতী জামাই হবে না। এতোই ইজি, এতোই ইজি? এতোই ইজি হলে তো সব আমার হাতের মুঠোয় চলে আসতো। আমি এতো ভালো ফ্যামিলির মেয়ে, তাহলে তো আমি ওকে পাইয়াই যাইতাম। ও আমার সাথে নাটক করতো? করতো না।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন