ওপেনিং জুটিতে রান নেই, তাই ইমরুল-সৌম্যকে ডাকা হয়েছে : আকরাম

  22-09-2018 03:45PM

পিএনএস ডেস্ক : শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৩৭ রানের বিশাল জয়ে এশিয়া কাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। এরপরই যেন স্বর্গ থেকে মর্ত্যে পতন। গ্রুপের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে অলআউট ১১৯ রানে, হার ১৩৬ রানের। সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে অলআউট ১৭৩ রানে, পরাজয়ের ব্যবধান ৭ উইকেট।

পরপর দুই ম্যাচে হারলেও এখনও বেঁচে আছে টাইগারদের ফাইনাল খেলার সম্ভাবনা। তবে জিততে হবে নিজেদের পরের দুই ম্যাচ, মেলাতে হবে কিছু সমীকরণ। তবেই তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে খেলতে পারবে বাংলাদেশ দল। কিন্তু এজন্য আগে দরকার দায়িত্বশীল ব্যাটিং ও স্মার্ট ক্রিকেটের প্রদর্শনী।

প্রথম তিন ম্যাচের একটিতেও স্বস্তির ব্যাটিং করতে পারেনি বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুনের জুটি না হলে সেদিনও দেখা মিলতো ব্যাটিং বিপর্যয়ের। এরই মধ্যে টানা দুই ম্যাচ হেরে ব্যাকফুটে বাংলাদেশ।

রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) সুপার ফোর রাউন্ডে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচের মধ্য দিয়েই নিশ্চিত হয়ে যাবে টাইগারদের ভাগ্য। হেরে গেলে কঠিনতর হয়ে যাবে ফাইনাল খেলার স্বপ্ন। নড়বড়ে ওপেনিং জুটি এখন বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে উঠেছে। এ জন্য তড়িঘড়ি করে ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকারকে দুবাই নেওয়া হচ্ছে।

হুট করেই ইমরুল-সৌম্যকে ডাকার ব্যাখ্যা দিয়েছেন আমিরাতে দলের সঙ্গে থাকা বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম। দেশের একটি অনলাইনকে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, তামিম চোটে পড়ার কারণে আমাদের ওপেনিং জুটিতে নড়বড়ে অবস্থা। এক ম্যাচেও আমরা ওপেনিং জুটিতে ভালো পারফরম্যান্স পাইনি।

আকরাম বলেন, টিম ম্যানেজমেন্ট আসলে একজন ওপেনারকে ডাকার কথাই বলেছিল। কিন্তু আমরা ঝুঁকি না নিয়ে দু’জনকেই ডেকে নিয়ে আসছি। টিম ম্যানেজমেন্ট এবং বোর্ডপ্রধানের সঙ্গে আলোচনা করেই ইমরুল ও সৌম্যকে আনছি।

দলে ব্যাকআপ হিসেবে যারা সুযোগ পেয়েছে, তারা আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা কিন্তু এসব চিন্তা করে আগেই দলে একজন বাড়তি ব্যাকআপ খেলোয়াড় নিয়ে এসেছি। যাদের ব্যাকআপ হিসেবে নিয়ে এসেছি, ওরাও ভালো খেলোয়াড়। ওদের দারুণ সুযোগ ছিল। লিটন তিনটা ম্যাচ খেলোয়াড় সুযোগ পেয়েছে। শান্ত দুইটা ম্যাচ খেলেছে। কিন্তু ওরা রান করতে পারেনি। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের এমন পরিকল্পনা করতে হয়েছে।

শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দলে যোগ দিতে সৌম্য ও ইমরুলের ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।

ইমরুল সবশেষ ওয়ানডে খেলেছেন গত বছরের অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। ব্যাটসম্যানদের চরম ব্যর্থতার সেই সফরে খুব একটা খারাপ করেননি ইমরুল। একটি ওয়ানডেতে ফিফটি করেছিলেন। তবে এরপর জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের দল থেকে বাদ পড়েন। এরপর আর জায়গা পাচ্ছিলেন না।

সবশেষ বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে আয়ারল্যান্ড সফরে ডাক পড়েছিল ইমরুলের। কিন্তু যেতে পারেননি পারিবারিক সমস্যায়। অনানুষ্ঠানিকভাবে দল থেকে বলা হয়েছিল, তার শরীরী ভাষায় সন্তুষ্ট নয় দল। অন্যদের ব্যর্থতায় আবার তার দুয়ারেই ছুটতে হলো দলকে।

সৌম্যকে নিয়েও তার বাজে সময়ে যথেষ্ট ধৈর্য ধরেছিল দল। কিন্তু প্রতিদান দিতে পারেননি তিনি। সবশেষ ৭ ওয়ানডেতে দু অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন কেবল একবার। জাতীয় দলের বাইরে থাকার সময়টায় ঘরোয়া ক্রিকেট বা ‘এ’ দলের হয়ে করতে পারেননি আহামরি কিছু।

পিএনএস/এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন