বিশ্বকাপে টিকিটের মূল্য ১৩ লক্ষ টাকা!

  19-01-2019 02:45PM

পিএনএস ডেস্ক : ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে জমজমাট আসর আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ। আর মাত্র চার মাস পরেরই বসবে এবারের আসার। আইসিসি এবং টুর্নামেন্টে অংশ নেয়া দলগুলোর মধ্যে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।

২০১৯ সালের আসরটি বসবে ইংল্যান্ডের মাটিতে। প্রায় দুই দশক পরে সেখানে ফিরছে বিশ্বকাপ, তাই ইংলিশদের মাঝে আগ্রহের কমতি নেই। চলছে টুর্নামেন্টের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। এ নিয়ে সেখানকার দর্শকদের দেখা গেছে বাড়তি আগ্রহ।

ইতিমধ্যে টিকিট বিক্রি শেষের পথে। মোট ৪৮টি ম্যাচের আইসিসির টিকিট ওয়েবসাইটের মতে নন হসপিটালিটি ক্যাটাগরির ৩৬টি ম্যাচের সকল টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। ওয়েবসাইটে টিকিট না পেয়ে অধিকাংশ ভক্তরাই হন্য হয়ে খুজছেন অন্য উপায়ে নিজের প্রিয় দলের ম্যাচ দেখার টিকিট। এই সুযোগে ফায়দা লুফে নিচ্ছে কিছু অসাধু চক্র।

অসাধু চক্রটি অতি মুনাফা লোভে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে চড়া মূল্যে বিক্রি করে দিচ্ছেন নিজেদের টিকিট। তেমনই একটি ওয়েবসাইট ভায়াগোগো। বিশ্বকাপে ২৫ জুন লর্ডসে মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। আইসিসি ওয়েবসাইটে সেই ম্যাচের টিকিট শেষ। তবে ভায়াগোগোতে দেখা যায় অন্য ঘটনা। এখানে সেই ম্যাচের টিকিট ১২ হাজার ২৯ পাউন্ডে বিক্রি করছেন এক বিক্রেতা। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা! অথচ সিলভার ক্যাটাগরির সেই টিকিটের প্রকৃত মূল্য ১১৫ পাউন্ড। সেই ম্যাচের টিকিটের চাহিদা অনেক হওয়ায় এই সুযোগ নিচ্ছে অসাধু বিক্রেতারা। শুধু ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ নয় আরো অন্যান্য হাই ভোল্টেজ ম্যাচের টিকিটও ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে আকাশচুম্বী মূল্যে। ভারত ও ইংল্যান্ডের বিভিন্ন ম্যাচের টিকিট ১২ হাজার পাউন্ডে পাওয়া যাচ্ছে এই ওয়েবসাইটে।

ভায়াগোগো ছাড়াও আরেকটি ওয়েবসাইট স্টাবহাবেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ম্যাচের টিকিট। ম্যানচেস্টারের ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচের টিকিটের দাম হাকা হচ্ছে ৩ হাজার পাউন্ডের ওপরে।

তবে এই ব্যাপারে ছাড় দিতে আইসিসি একেবারে নারাজ। বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন তারা এই ব্যাপারটি দেখছেন এবং এই সকল টিকিট শনাক্তকরণের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন যা তাদের নিয়ম নীতির বাইরে। যুক্তরাজ্যে টিকিট পুনরায় বিক্রি করা অবৈধ নয় তবে আইসিসি ওয়েবসাইট জানিয়েছে তাদের ওয়েবসাইট থেকে বিক্রি হওয়া কোন টিকিট জনসাধারণের কাছে পুনরায় বিক্রির জন্য তোলা যাবে না।

ওয়েবসাইট ভায়াগোগো এক বিবৃতিতে জানায় ‘আমরা কোন টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করে থাকি না। গ্রাহকরা নিজেরাই দাম নির্ধারণ করে আমাদের ওয়েবসাইটে দেয় এবং তা বেশিও হতে পারে আবার কমও হতে পারে নির্ধারিত মূল্য থেকে। যখন টিকিটের চাহিদা বেশি থাকবে তখন দাম একটু বেশি হবেই।’

ভারতীয় দলের সাপোর্টারদের গ্রুপ ভারত আর্মির প্রধান রাকেশ প্যাটেল জানান ব্যালটের মাধ্যমেই এক টিকিট গুলো অসাধু চক্রের হাতে পৌছেছে। এইসব কালোবাজারি বন্ধে আইসিসিকে আরো কঠোর হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে রাকেশ বলেন, ‘আইসিসি অবশ্যই প্রকৃত ভক্তদের খুজে বের করতে পারবে যারা ম্যাচ দেখতে আগ্রহী ও নিয়মিত মাঠে যায়, টিকিট বিক্রয়ের বেলায় তাদের প্রাধান্য দেওয়া উচিত।’

আগামী ৩০ মে ইংল্যান্ডে পর্দা উঠবে বিশ্বকাপের। দশটি দল একে অপরের বিপক্ষে রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে খেলবে এই আসরে সেমিফাইনাল ও ফাইনালের আগে।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন