মাশরাফির কান্নাই স্বপ্ন দেখিয়েছিল আবু জায়েদকে

  16-04-2019 09:39PM

পিএনএস ডেস্ক : কেউ বলছেন, ‘হরিষে বিষাদ’! কেউ আবার বলছেন, এখানে ‘কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ’ প্রবাদটাই বেশি খাটে। বিসিবি একাডেমি ভবনের যেখানে দাঁড়িয়ে খানিক আগে কাঁদলেন তাসকিন আহমেদ, সেখানেই হাস্যোজ্জ্বল মুখে বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাওয়ার প্রতিক্রিয়া জানালেন আবু জায়েদ।

কেউ হরিষে হাসবেন, কেউ বিষাদে ভেঙে পড়বেন, জীবনই এমন। আরও মিল দেখুন, আজ দুজনেরই মনে পড়ছে ২০১১ বিশ্বকাপে মাশরাফি বিন মুর্তজার সেই কান্না। তাসকিনের মনে পড়ছে বাদ পড়ায়। আর আবু জায়েদের মনে পড়ছে সুযোগ পেয়ে।

৮ বছর আগে মাশরাফির কান্না স্পর্শ করেছিল সবে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে পা রাখা আবু জায়েদকে। তিনি সেদিন বুঝেছিলেন, একজন খেলোয়াড়ের কাছে বিশ্বকাপ কতটা গুরুত্বপূর্ণ, ‘ভাইয়ের ওই কান্না দেখে অনুভব করেছিলাম, বিশ্বকাপের মর্যাদা কতটা, বিশ্বকাপের গুরুত্ব কতটা। একটা সিরিজ-টুর্নামেন্ট খেলতে না পারলে এত কষ্ট লাগে না। যতটা লাগে বিশ্বকাপ না খেলতে পারলে। এই টুর্নামেন্টের মর্যাদা অনেক। তখন থেকেই স্বপ্ন দেখেছি বিশ্বকাপের।’

বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেয়ে একটা স্বপ্নই পূরণ হয়েছে আবু জায়েদের। যাঁর কখনোই ওয়ানডে খেলা হয়নি, তিনিই কিনা বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে। ৫ টেস্ট ও ৩ টি-টোয়েন্টি খেলা আবু জায়েদকে চেয়েছেন কোচ-অধিনায়ক দুজনই। কিছুদিন আগে তাঁকে নিয়ে মাশরাফি বলেছিলেন, ‘এখন আমাদের এই একটা পেসার যে আসলেই বল সুইং করাতে পারে।’ তাসকিন আহমেদকে নিয়ে অনিশ্চয়তা আর ইংলিশ কন্ডিশন বিবেচনায় ওয়ানডে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা আবু জায়েদকেই দলের পঞ্চম পেসার হিসেবে বেছে নিয়েছেন নির্বাচকেরা।

আলোচনায় না থেকেও বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেয়ে ভীষণ অবাক আবু জায়েদ। তাঁর ধারণা ছিল হয়তো ২০ জনের দলে থাকবেন। কিন্তু নির্বাচকেরা চমকে দিয়ে তাঁকে রেখেছেন ১৫জনের দলে। আবু জায়েদও প্রস্তুত আস্থার প্রতিদান দিতে, ‘বল সুইং করাতেই আমাকে নেওয়া। মাশরাফি ভাইও বলেছেন, বল সুইং করানোর চেষ্টা করিস, ভালো জায়গায় বোলিং করবি। আমি আশাবাদী, বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।’

আবু জায়েদের আদর্শ জিমি অ্যান্ডারসন। ইংলিশ পেসারের মতোই তাঁর বোলিং অ্যাকশন। এখন অ্যান্ডারসনের মতো দুর্দান্ত সুইং করাতে পারলেই হয়!

পিএনএস-জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন