আম্পায়ারের ভুলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইংল্যান্ড!

  16-07-2019 06:25PM

পিএনএস ডেস্ক: পর্দা নেমেছে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের। ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলসে অনুষ্ঠিত দেড় মাস ধরে চলা ক্রিকেট মহারণের সমাপ্তি হয়েছে নাটকীয়তায় ভরপুর এক ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে। এমন ম্যাচ তো নিয়মিত হয় না। ফাইনাল তো অনেক দূর, সাধারণ এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ এমনকি ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচগুলোতেও এমন ম্যাচ হয়নি এর আগে। জমজমাট এমন ম্যাচে একবার নিউজিল্যান্ড জেতে তো একবার ইংল্যান্ড। পুরো ম্যাচটা হয়েছে এভাবে।দুই দলের নির্ধারিত ১০০ ওভারে ম্যাচ টাই হওয়ার পর সুপার ওভারেও টাই! বাউন্ডারিসংখ্যার ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়েছে বিজয়ী দল।

বিশ্বকাপের ফাইনালে শিরোপা জয়ের জন্য শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ১৫ রান। ট্রেন্ট বোল্টের প্রথম দুই বলে কোনো রান নিতে পারেননি বেন স্টোকস। তৃতীয় বলে হাঁকান ছক্কা। ৩ বলে তখন প্রয়োজন ছিল ৯ রান।

ওভারের চতুর্থ বলটি স্টোকস মারেন মিড উইকেটে। সেখান থেকে বলটি কুড়িয়ে উইকেটরক্ষকের উদ্দেশে ছুড়েন মার্টিন গাপটিল। সেই সময় দ্বিতীয় রানের জন্য প্রাণপণে ছুটেন স্টোকস। গাপটিলের ছোড়া বলটি উইকেটরক্ষকের কাছে পৌঁছানোর আগেই স্টোকসের ব্যাটে লেগে চলে যায় বাউন্ডারির বাইরে। ফলে ইংল্যান্ডকে ৬ রান উপহার দেন ফিল্ড আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা।

এ রানেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। এতে নিউজিল্যান্ডের সমান ২৪১ রান করে ম্যাচ সুপার ওভার পর্যন্ত নিয়ে যেতে সক্ষম হয় ইংল্যান্ড। তাতেও স্কোর সমান, ১৫ করে, অর্থাৎ টাই। শেষ পর্যন্ত বাউন্ডারি সংখ্যার হিসাবে চ্যাম্পিয়ন হন স্বাগতিকরা। শিরোপা আশাভঙ্গ হয় কিউদের।

ফাইনালি লড়াই শেষে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ওই ওভার থ্রোতে আম্পায়ারদের দেয়া ৬ রান। সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে তুমুল আলোচনা। টেলিভিশন রিপ্লেতে স্পষ্ট দেখা যায়, ডিপ মিডউইকেট থেকে গাপটিল বল ছোড়ার সময় স্ট্রাইক ব্যাটসম্যান স্টোকস এবং তার নন-স্ট্রাইক পার্টনার আদিল রশিদ দ্বিতীয় রানের সময় পরস্পরকে ক্রস করেননি। স্বভাবতই সেটি দুই রান হয় না, হয় এক!

আইসিসির নিয়ম (১৯.৮) অনুযায়ী, ওভার থ্রোর বাউন্ডারির ক্ষেত্রে ফিল্ডার বল ছোড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাটসম্যানদের পরস্পরকে ক্রস করতে হবে। তবেই সেই বাউন্ডারির সঙ্গে ফিল্ড রান যোগ হবে।

এ নিয়ম প্রযোজ্য হলে ওভার থ্রোর বাউন্ডারির সঙ্গে বাড়তি এক রান পাবে ইংল্যান্ড। অথচ ধর্মসেনা ৬ রানের (২টি ফিল্ড রান ও ওভার থ্রোর চার) সংকেত দেন। এক রান কম হলে শেষ ২ বলে ইংলিশদের জয়ের জন্য দরকার হতে ৩-এর বদলে ৪ রান। নন-স্ট্রাইক প্রান্তে থাকতেন স্টোকস। সেক্ষেত্রে ম্যাচের ছবিটা বদলে যেতেও পারত। শেষ পর্যন্ত গল্পটাও ভিন্ন হতে পারত।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন