১৭ কোটির অনিয়ম, অভিযোগ বাফুফে সহসভাপতিরই

  17-09-2019 07:49PM

পিএনএস ডেস্ক : বাফুফের বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়মের অভিযোগ এর আগেও তুলেছেন বিভিন্ন কাউন্সিলর। এবার অভিযোগ এসেছে খোদ বাফুফেরই সহসভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের কাছ থেকে। কাল বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে লিখিতভাবে অভিযোগের কথা জানিয়ে অনিয়মের ব্যাখ্যা চেয়েছেন তিনি।

বাফুফের নির্বাহী কমিটির সভায় তিন বছরের আর্থিক বিবরণী অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করার পর এই বিষয়ে সবার মতামত চাওয়া হয়েছিল। সেটি পর্যবেক্ষণ করে মহিউদ্দিন আহমেদ ব্যাপক অনিয়মের কথা উল্লেখ করে দাবি করেছেন তদন্তও, ‘গত সভায় বিগত তিন বছরের অডিট রিপোর্ট অনুমোদনের অ্যাজেন্ডা ছিল। তখন এই রিপোর্টের ব্যাপারে আমার অবজারভেশনের (পর্যবেক্ষণ) কথা বলেছি। এখানে কিছু অনিয়ম চোখে পড়েছে, আমি এটাকে দুর্নীতি বলছি না। তবে এটার ব্যাখ্যা চেয়েছি। এ ব্যাপারে যেন বাফুফে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়, যথাযথ তদন্ত করে।’


মহিউদ্দিন আহমেদের দাবি, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের বিগত তিন বছরের (২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮) আর্থিক প্রতিবেদনে মোট ১৭ কোটি টাকার অনিয়ম আছে। তিনি বলেন, এগুলোকে কোনোভাবেই সর্বশেষ তিন বছরের ব্যয় হিসেবে ধরা হতে পারে না। এত পুরোনো ও বড় ব্যয় নতুন করে আর্থিক প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করা অবৈধ।

লিখিত অভিযোগে মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, তিনটি আর্থিক প্রতিবেদন তিনটি ভিন্ন অডিট প্রতিষ্ঠান দিয়ে করা হয়েছে, যার দুটিই বাফুফের সাধারণ সভায় অনুমোদিত নয়। এ ছাড়া ২০১৭ সালের আর্থিক প্রতিবেদনে এশিয়া কাপ, বঙ্গবন্ধু কাপ, জাতীয় স্কুল ফুটবল এবং প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচিতে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা সমন্বয় করা হয়েছে। অগ্রিম সমন্বয়ের বিপরীতে কেন বেশি অর্থ ব্যয় হয়েছিল, তার কোনো ব্যাখ্যা নেই। আইএফআইসি ব্যাংক মতিঝিল শাখায় বাফুফের ৮ কোটি ১০ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে। এ ঋণের বোঝা বাফুফে কতকাল বহন করবে এবং বাফুফের অবস্থান কী হবে, সেটিরও ব্যাখ্যা চেয়েছেন মহিউদ্দিন আহমেদ।

এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে বাফুফের সিনিয়র সভাপতি ও অর্থবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান সালাম মুর্শেদীর মন্তব্য, ‘বিষয়টা আমি শুনেছি। কিন্তু এখনো কোনো কাগজপত্র হাতে পাইনি। আগে কাগজপত্র দেখি, তারপর মন্তব্য করব।’

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন