শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে সুপার ওভারে জিতল দিল্লি

  21-09-2020 01:18AM

পিএনএস ডেস্ক : অনেক বাধা পেরিয়ে শুরু হওয়া আইপিএলের ১৩তম আসরের দ্বিতীয় ম্যাচেই সুপার ওভারের রোমাঞ্চ দেখল দর্শক।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রবিবার মুখোমুখি হয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস ও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দিল্লি ৮ উইকেটে ১৫৭ রানের পুঁজি গড়েছিল।

জবাব দিতে নেমে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে শেষ পর্যন্ত টাই হয় ম্যাচ। ৮ উইকেটে ঠিক ১৫৭ রান করে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। ফলে ম্যাচটি গড়ায় সুপার ওভারে। তবে ‘ওয়ান ওভার এলিমিনেটরে’ ব্যর্থ হয় পাঞ্জাব। ৩ বলে ২ রান তুলতেই হারিয়ে ফেলে ২ উইকেট। ফলে দিল্লির সামনে ৩ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়। যা তারা পেরিয়ে যায় মাত্র ২ বলেই।

এর আগের লড়াইটাকে বলতে হবে- মার্কাস স্টয়নিস বনাম মায়াঙ্ক আগারওয়াল। স্টয়নিসের ব্যাটে এক রকম ধ্বংসস্তূপ থেকে ঘুরি দাঁড়িয়েছিল দিল্লি। ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলা দলকে অজি তারকা এনে দিয়েছিলেন লড়ার পুঁজি।

আর আগারওয়াল স্রোতের বিপরীতে পাঞ্জাবকে টেনে নিয়ে গেছেন। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে তার আউটেই পাঞ্জাবের জয় হাতছাড়া হয়ে যায়।

আগারওয়াল ৬০ বলে ৭ চার ও ৪ ছক্কায় করেন ৮৯ রান। দলটির পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ রান আসে অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের ব্যাট থেকে। ২০ রান করেন কৃষ্ণাপ্পা গৌতম।

দিল্লি ক্যাপিটালস মোহাম্মদ শামির দুরন্ত বোলিংয়ে কোণঠাসা ছিল ইনিংসের ১৭ ওভার পর্যন্ত। শেষ তিন ওভারে হঠাৎই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন স্টয়নিস। বিশেষ করে শেষ ওভারে ৩০ রান খচর করে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ম্যাচে ফেরার সুযোগ করে দেয় পাঞ্জাব।

১৭ ওভারে দিল্লির স্কোর ছিল ৬ উইকেটে ১০০। ১৮ তম ওভারে ১৩ রান ওঠে। ১৯ তম ওভারে শেল্ডন কটরেল অশ্বিনের উইকেট পেলেও খরচ করেন ১৪ রান। অর্থাৎ, ১৯ ওভারে দিল্লি দাঁড়িয়েছিল ৭ উইকেটে ১২৭ রানে।

এমন পরিস্থিতি থেকে খুব বেশি হলে ১৪০ পর্যন্ত নিজেদের ইনিংসকে টেনে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবতে পারে যে কোনো দল। কিন্তু স্টয়নিস ভেবেছিলেন অন্য কিছুই। শেষ ওভারের জর্ডনকে ২টি ছক্কা ও ৩টি চার মারেন তিনি। একটি ওয়াইড, একটি নো বলে সিঙ্গেল এবং শেষ বলে ৩ রান মিলিয়ে মোট ৩০ রান ওঠে শেষ ওভারে। দিল্লি স্কোর বোর্ডে ১৫৭ রান তুলে ম্যাচে লড়াই করার রসদ পেয়ে যায়।

স্টয়নিস মাত্র ২০ বলে ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। শেষমেশ ৭টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ২১ বলে ৫৩ রান করেন তিনি। বলে বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট। আয়ারওয়ালের মহাগুরুত্বপূর্ণ উইকেটটিও তার শিকার। ম্যাচসেরাও তাই তিনি।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন