পিএনএস ডেস্ক : দেশের প্রথম মুঠোফোন অপারেটর প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড বা সিটিসেলের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বিটিআরসির একটি প্রতিনিধিদল মহাখালীতে প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে সিটিসেলের অপারেশনাল কার্যালয় বন্ধ করে দেয়।
এ বিষয়ে বিটিআরসির প্রধান কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। এতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, বিটিআরসির বকেয়া পরিশোধ না করায় টেলিযোগাযোগ আইনের ৫৫(৩) ধারার ক্ষমতাবলে সিটিসেলের তরঙ্গ বরাদ্ধ স্থগিত করা হয়েছে। এ অবস্থা থেকে সিটিসেলের আর ফিরে আসার সুযোগ নেই।সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, মোট বকেয়ার ৪৭৭ কোটি টাকার দুই-তৃতীয়াংশ ৩১৫ কোটি টাকা বুধবার নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ না করায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। টুজি লাইসেন্সের তরঙ্গ বরাদ্দ ও নবায়ন ফি, রাজস্ব ভাগাভাগি, বার্ষিক তরঙ্গ ফি, সামাজিক সুরক্ষা তহবিল, বার্ষিক লাইসেন্স ফি, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও বিলম্ব ফি বাবদ সিটিসেলের এই পরিমাণ অর্থ বকেয়া রয়েছে।
বুধবার সিটিসেল কর্তৃপক্ষ বিটিআরসির কার্যালয়ে ১৪৪ কোটি টাকা জমা দেয়।
সিটিসেলে বর্তমানে ৫৫ ভাগ শেয়ারের মালিক দেশীয় শিল্পগোষ্ঠী প্যাসিফিক মোটরস ও ফার ইস্ট টেলিকম। এর মধ্যে প্যাসিফিক মোটরসের শেয়ারের পরিমাণ ৩৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ আর ফার ইস্ট টেলিকমের ১৭ দশমিক ৫১ শতাংশ। বাকি ৪৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ শেয়ারের মালিক সিঙ্গাপুরভিত্তিক টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সিংটেল। প্যাসিফিক মোটরস ও ফার ইস্ট টেলিকমের কর্ণধার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা মোর্শেদ খান।
পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম
সিটিসেল বন্ধ
20-10-2016 09:43PM