পিএনএস ডেস্ক:আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে চতুর্থ প্রজন্মের উচ্চগতির মোবাইল নেটওয়ার্ক (ফোরজি) লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। আর লাইসেন্স প্রক্রিয়া শেষ করে মাস দুয়েকের মধ্যে ফোরজি লাইসেন্স দেয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
তরঙ্গ নিরপেক্ষতা (নেট নিউট্রালিটি) নিশ্চিত করেই এই লাইসেন্স দেয়ার কথার জানিয়েছেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ। বলেছেন, চলতি বছরেই ফোরজি সেবা ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহক।
জানা গেছে, গত বুধবার মূল্যায়ন বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বিটিআরসিকে যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফোরজি চালুর নির্দেশনা দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে চলতি রবিবার থেকে পূর্ণোদ্যমে কাজ শুরু করেছে কমিশন।
এ বিষয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, গত বছর নিলামের কথা থাকলেও কারিগরি জটিলতায় তা হয়নি। চলতি বছর সেসব জটিলতা কাটিয়ে ওঠা গেছে। ফলে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ফোরজি লাইসেন্স দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
সূত্রমতে, ইতোমধ্যেই মোবাইল অপারটেরদের প্রায় সকলেরই ফোরজি সেবা চালুর মতো কারিগরি সক্ষমতা রয়েছে। অপরদিকে ফোরজি লাইসেন্স বরাদ্দ দিতে বিটিআরসি'র কাছে বিভিন্ন ব্যান্ডে প্রায় ৪০ মেগাহার্ডজ তরঙ্গ রয়েছে।
কিন্তু এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে রয়েছে তরঙ্গ ব্যবহারে নিরপেক্ষতা। অবশ্য লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে নেট নিউট্রালিটির বিষয়টি এমনিতেই সমাধান করা যাবে বলে মনে করছেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান।
জানা গেছে, এবার লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়া আগের চেয়ে একটু ভিন্ন হবে। নতুন পদ্ধতিতে প্রথমে লাইসেন্স দেওয়া হবে। এর পর স্পেকট্রামের নিলাম হবে। এ ক্ষেত্রে বিদ্যমান চারটি অপারেটরকে লাইসেন্স অফার করা হবে। একই সঙ্গে উন্মুক্ত থাকবে নতুন আগ্রহীদের জন্যও।
এ পদ্ধতিতে লাইসেন্স পাওয়া অপারেটরই শুধু স্পেকট্রামের নিলামে অংশ নেওয়ার অনুমোদন পাবে। এছাড়াও পূর্বে ৭০০ ব্যান্ডে ফোরজি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও এখন যে কোনো ব্র্যান্ডে এ সেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
পিএনএস/আলআমীন
ফোরজি লাইসেন্স আগামী মাসেই
20-02-2017 12:45PM