জেনে নিন হাবল টেলিস্কোপ মেরামতের পিছনের কাহিনী!

  25-10-2018 05:43PM

পিএনএস ডেস্ক : চলতি অক্টোবর মাসটি হাবল স্পেস টেলিস্কোপের (গ্রহ-নক্ষত্র পর্যবেক্ষণের যন্ত্র) জন্য মোটেও অনুকূলে নয়। মাসের প্রথম সপ্তাহেই মহাকাশযানটির তিনটি জাইরোস্কোপ (বিশেষ ডিভাইস) অচল হয়ে যায়। এতে মহাবিশ্বে ঘূর্ণমান বস্তুর পর্যবেক্ষণ ও ছবি তোলা দুটোই বন্ধ হয়ে যায়।

এ নিয়ে এক বিবৃতিতে নাসা সবাইকে এই বলে আশ্বস্ত করেছে যে, ডিভাইস দুটো অকেজো হয়ে পড়ার এই ঘটনা স্বাভাবিক ছিল। কারণ গত এক বছর ধরে বোঝা যাচ্ছিল যে এগুলোর দিন শেষ হয়ে আসছে। এর আগে মহাকাশযানটির একই রকমের অন্য দুটি জাইরোস্কোপ অকেজো হয়ে যায়।

ঘটনার পর নাসা প্রকৌশলীরা একটি ব্যাকআপ জাইরোস্কোপ চালু করেছে যা ২০১১ সালের শুরুর দিক থেকে কাছে ছিল। প্রথমে তাঁরা ভেঙে পড়েন। কারণ, গত সাড়ে সাত বছর ধরে ব্যবহৃত না থাকা সত্ত্বেও চালু করার পরও এটি ঘুরতে শুরু করে এবং এটি এমন বার্তা পাঠাতে থাকে যা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। বিষয়টি এমন যে, ধরেন আপনার গাড়িতে স্পিডমিটারে সবসময় যে গতি দেখায় হঠাৎ তার চেয়ে যদি ১০০ মাইল বেশি দেখায় তাহলে যে অবস্থা হয়।

প্রকৌশলীরা মনে করেন সমস্যাটি একটি যান্ত্রিক বাধা হতে পারে। এটি ঠিক করার জন্য নাসা টেলিস্কোপটিকে 'সেইফ মোডে' রাখা হয় কার্যক্রম সীমিত করে।

হাবল অভিযান প্রকল্প পরিচালক প্যাট্রিক ক্রাউস ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন, 'টেলিস্কোপ সেইফ মোডে রাখার অর্থ এই নয় যে আমরা কার্যক্রম চালাচ্ছিলাম না।

নাসা দলগুলি পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যায় ফ্লাইট সফটওয়ার পর্যালোচনা করে এবং তাদের মূল্যবান টেলিস্কোপটির জন্য যতটা সম্ভব সামান্য ক্ষতি নিয়ে সমস্যাটি সমাধানের জন্য কী করা যায়- তা বিবেচনা করে।

১৬ অক্টোবর, হাবল দলটিও 'রানিং রিস্টার্ট'র চেষ্টা চালায়। ত্রুটিপূর্ণ জাইরোস্কোপটি এক সেকেন্ডের জন্য বন্ধ করে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়।

হাবল স্পেস টেলিস্কোপ যাত্রা শুরু করে ১৯৯০ সালের ২৪ এপ্রিল। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা (নাসা) এবং ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার (ইএসএ) যৌথ উদ্যোগে যাত্রা শুরু করে এটি। তারপর থেকে এটি একের পর এক অভূতপূর্ব ছবি সব তুলতে থাকে। মহাবিশ্ব সম্পর্কে পাল্টে দিতে থাকে জ্যোতির্বিদদের ধারণা। আরো অন্তত পাঁচ বছর ধরে মহাশূন্যে অনুসন্ধান চালানোর সামর্থ্য রয়েছে এ স্পেস টেলিস্কোপটির।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন