মনের কথা পড়তে পারে ‘রোবট স্যুট’

  06-10-2019 12:28AM

পিএনএস ডেস্ক:মানুষের মনের কথা জানা সম্ভব নাকি! তাও যদি হয় রোবট স্যুট, তাহলে বিষয়টি রিতীমতো অবাক হওয়ারই মতো। কিন্তু তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে অনেক অবাস্তবই ঘটছে। বিজ্ঞান পাল্টে দিয়েছে মানুষের চিন্তা-ভাবনা। আর এ যুগে রোবট স্যুটের মনের কথা পড়তে পারাটা একটু অবাক করা মনে হলেও অবাস্তব নয়।

ফরাসী গবেষকরা বলছেন, থিবল্ট নামের ৩০ বছর বয়সী এক ফরাসী, যিনি পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন বিছানায় পড়ে ছিলেন তার ওপর সম্প্রতি এই পরীক্ষাটি চালানো হয়েছে। তাকে একটি ‘অ্যাক্সোস্কেলেটন স্যুট’ পরানো হয়েছিলো। এটি তার মস্তিস্কের সঙ্গে সংযুক্ত ছিলো। সেটি পরে তিনি কয়েক ধাপ হাঁটতে পেরেছেন।

থিবল্ট তার এই হাঁটার অভিজ্ঞতাকে চাঁদের মাটিতে প্রথম মানুষের পা রাখার অভিজ্ঞতার সঙ্গে তুলনা করেছেন।

গবেষকরা বলছেন, থিবল্ট যেভাবে হেঁটেছেন সেটা যে একেবারে শতভাগ ঠিকঠাক ছিলোনা। তবে, এটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র এ স্যুটের কল্যাণে।

গবেষকরা আশাবাদী, এই পরীক্ষা ভবিষ্যতে পক্ষাঘাতে আক্রান্তদের জন্য বড় সুখবর নিয়ে আসতে পারে। তাদের জীবনমানে নাটকীয় উন্নতি ঘটাতে পারে।

কীভাবে এটি কাজ করে?

থিবল্টের মাথায় অস্ত্রোপচার করে তার মস্তিস্কের ওপর দুটি ইমপ্ল্যান্ট বসিয়ে দেয়া হয়। মস্তিস্কের যে অংশটি মানুষের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করে, সেখানে যুক্ত করা হয়েছিল এসব ইমপ্ল্যান্ট। প্রতিটি ইমপ্ল্যান্টে ছিলো ৬৪টি ইলেকট্রোড। মস্তিস্কের ভেতরে কী হচ্ছে তা মনিটর করতে পারে এসব ইমপ্ল্যান্ট। এরপর তারা মস্তিস্কের এই সংকেত পাঠিয়ে দেয় নিকটবর্তী এক কম্পিউটারে।

অত্যাধুনিক এক কম্পিউটার সফ্টওয়্যার দিয়ে এসব সংকেত পড়া হয়। এরপর সেই সংকেত অনুযায়ী অ্যাক্সোস্কেলেটন স্যুটের কাছে নির্দেশ যায় কী করতে হবে। থিবল্টের শরীর বাঁধা ছিলো এই অ্যাক্সোস্কেলেটন স্যুটে। থিবল্ট যখনই ভাবছেন তিনি হাঁটবেন, মস্তিস্ক থেকে সংকেত যাচ্ছে কম্পিউটারে, কম্পিউটার থেকে আসা নির্দেশে এরপর অ্যাক্সোস্কেলেটন স্যুট তাকে হাঁটাচ্ছে। এভাবে কেবল তার চিন্তা দিয়ে থিবল্ট তার দু'হাতও নানাভাবে নাড়াতে পারেন।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন