৩ দিনেও মেরামত হয়নি আশাশুনির ভাঙা বেড়িবাঁধ

  19-10-2016 12:57AM



পিএনএস: তিনদিনেও সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কোলা গ্রামে প্রবল জোয়ারের চাপে ভেঙে যাওয়া খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ সংস্কার করা যায়নি। এতে গ্রামের পর গ্রাম পানিতে তলিয়ে আছে।

উপজেলার প্রতাপনগর ও শ্রীউলা ইউনিয়নের ১২টি গ্রামের কয়েকশ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকার মাছের ঘের ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।

গত রোববার ভোরে উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলা গ্রামের ৪ নম্বর পোল্ডারের কাছে খোলপেটুয়া নদীর প্রায় ২৫০ ফুট বেড়িবাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে ওই ইউনিয়নের কোলা ও হিজলিয়া এবং শ্রীউলা ইউনিয়নের মাড়িয়ালা, হাজরাখালী, কলিমাখালী ও লাঙ্গলদাড়ি গ্রাম প্লাবিত হয়। ভাঙন ক্রমেই বাড়তে থাকায় আশপাশের গ্রামগুলোও পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের মধ্যে খাদ্য ও সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় কৃষক ওয়াজেদ গাজী, সঞ্জয় দাস, জহুরুল ইসলাম ও সাইফুল্লাহসহ গ্রামের লোকজন জানান, বাঁধটি আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। হঠাৎ জোয়ারের চাপে বাঁধটি নদী গর্ভে ধসে পড়ে। এতে ১২টি গ্রামের কয়েকশ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তাদের মাছের ঘের ও ফসলি জমিও প্লাবিত হয়।

প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাকির হোসেন জানান, কিছু দিন আগেও কোলার একটি জায়গায় বেড়িবাঁধ ভেঙে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়। এবার তার পাশে অপর একটি অংশে বেড়িবাঁধ ভেঙে তার ইউনিয়নের কোলা ও হিজলিয়া গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে জানান তিনি।

শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গাফিলতির কারণে এখানে বার বার বেড়িবাঁধ ভেঙে গ্রামগুলো প্লাবিত হচ্ছে। এতে তাঁর ইউনিয়নের মাড়িয়ালা, হাজরাখালী, কলিমাখালী ও কাঁকড়াবুনিয়া, জেলেখালী, নাসমাবাদ, গাজীপুর ও লাঙ্গলদাড়িসহ ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

আবু হেনা শাকিল জানান, পাউবোর সহযোগিতায় জনগণের অংশগ্রহণে বাঁধ সংস্কারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে গত তিনদিনেও তা সফল হয়নি। ফলে জনগণের দুর্ভোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।


পিএনএস/বাকিবিল্লাহ্


@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন