বেড়েছে শুঁটকির কদর

  25-10-2016 06:27AM


পিএনএস: ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষেধাজ্ঞার কারণে বাজারে কাঁচা মাছের দুর্দিন চলছে। বেড়ে গেছে মিঠাপানির মাছের দাম। কদর বেড়েছে শুকনা মাছের। তাও আগের চেয়ে দ্বিগুণ দামের। ১৮ই অক্টোবর মঙ্গলবার সরজমিন টেকনাফ মাছ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মাছ ব্যবসায়ীরা মজুদকৃত হিমায়িত সামুদ্রিক মাছ বিক্রি করছেন। পাশাপাশি রয়েছে মিঠাপানিতে চাষকৃত তেলাপিয়া, পাঙ্গাস, রুই, কাতাল মাছসহ নানা প্রজাতের মাছ। চাহিদার চেয়ে বাজারে মাছ রয়েছে তুলনামূলক অনেক কম। ওইসব মাছের দাম স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণি পরিবারগুলো এসব মাছ উচ্চ দামে ক্রয় করতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে। এসময় দেখা যায়, মিঠা পানির মাছের চেয়ে সামুদ্রিক মাছের দাম বেশি। প্রতি কেজি কাতাল ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ছোট ২০০ টাকা, পাঙ্গাস ছোট ১২০ টাকা, চিংড়ি ছোট ৪৫০ টাকা, তাইল্যা ৫০০ টাকা, কোরাল ৫০০ টাকা টাকা দরে বিক্রি করছে। এদিকে বাজারে তুলনামূলক কাঁচা মাছ কম থাকায় এবং বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে শুঁটকি মাছের বাজার সরগরম হয়ে উঠেছে। প্রতি কেজি লইট্টা ৪৫০ টাকা, পোয়া ৮০০ টাকা, ছুরি ছোট ৬০০ টাকা, বড় ১০০০ টাকা, মাইট্টা ১২০০, কিচকি ৪৮০ টাকা দামে বিক্রি করা হচ্ছে। অপরদিকে একই নিয়মে বৃদ্ধি পেয়েছে কাঁচাবাজার। বেগুন ৬০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, কাঁচামরিচ ২৪০ টাকা, গোলআলু ৩০ টাকা, বড় আলো ৮০ টাকা, মুলা ৪০ টাকায় বিক্রি করছেন। এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যাদি ক্রয় করতে এক ধরনের হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের। টেকনাফ সদর ইউনিয়নের লেঙ্গুরবিল গ্রামের ক্রেতা মো. উল্লাহ বলেন, কাঁচাবাজারের পাশাপাশি শুঁটকি বাজারেও আগুন। আমাদের মতো সাধারণ নিম্ন আয়ের লোকের জন্য ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। নিয়ন্ত্রণহীন বাজারকে সামলাতে সরকারের ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানান তিনি। ২২ দিনের জন্য ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে এসব পণ্যাদির দাম বৃদ্ধি করা হলেও বাজার মনিটরিং দেখা যায়নি। ফলে যেনতেন দাম হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা। এসব অনিয়ন্ত্রিত ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ রাখতে বাজার মনিটরিং দরকার বলে অভিমত পোষণ করেছেন টেকনাফের সচেতন মহল।

পিএনএস/বাকিবিল্লাহ্



@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন