ভিক্ষুকের তালিকায় আওয়ামীলীগ নেতাদের নাম!

  26-10-2016 11:37AM

পিএনএস ডেস্ক: ১০ টাকার চাল নিয়ে বিভিন্ন রকম জালিয়াতির পর এবার ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচিতেও একই কাণ্ড ঘটছে। ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনের অর্থ আত্মসাতের লক্ষ্যে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার একটি গ্রামে আওয়ামী লীগের সচ্ছল নেতাকর্মীরা ভিক্ষুকের তালিকায় নাম লিখিয়েছে। ফলে বাদ পড়েছে প্রকৃত ভিক্ষুকরা।

সম্প্রতি খুলনা বিভাগের ১০ জেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত করার কথা জানান বিভাগীয় কমিশনার আব্দুস সাত্তার। এ জন্য জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে প্রকৃত ভিক্ষুকের তালিকা তৈরির জন্য বলা হয়। তালিকা দেখে ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। গত সপ্তাহে নড়াইল জেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এরই মধ্যে যশোর জেলায় ভিক্ষুকের তালিকা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। জেলার মণিরামপুর উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৮৭১ জন ভিক্ষুক তালিকাভুক্ত হয়েছে।

সম্প্রতি মণিরামপুর উপজেলা প্রশাসন এই তালিকা ওয়েবসাইটে দিয়ে দিয়েছে। তাতে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতা, সচ্ছল ব্যক্তি এবং একই পরিবারের একাধিক সদস্যকে ভিক্ষুক হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। জামালপুর গ্রামের একই পরিবারের তিন সদস্য হানিফ গাজী, কামরুল গাজী ও ইসাহাক গাজীর স্ত্রী রাবেয়া গাজী ভিক্ষুকের তালিকায় আছেন। এর মধ্যে হানিফ গাজী স্থানীয় খেদাপাড়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি। তাঁর দুই ছেলে রেজাউল ও আমিনুর বিদেশে থাকেন। রাবেয়ার স্বামী ইসাহাক গাজী ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। কামরুল গাজী যুবলীগকর্মী। জামালপুর বাজারে কামরুল গাজীর একটি দোকান রয়েছে। এই তিনজন সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা।

এ ব্যাপারে হানিফ গাজী জানান, ‘আমার দুই ছেলে বিদেশে থাকলে কী হবে, আমার তো ভিটেমাটি নেই। আমি তো ভিক্ষুকই।’ স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মুনসুর আলী বলেন, ‘ভিক্ষুকদের তালিকা কে কিভাবে করেছে তা আমার জানা নেই।’

মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, ‘একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের কর্মীরা সরেজমিন বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভিক্ষুকদের তালিকা করেছে। এই তালিকায় ভুল হওয়ার কথা নয়। ভিক্ষুকের বাইরে তালিকায় কারো নাম আসার প্রমাণ পেলে সেই নাম বাদ দেওয়া হবে।’

সূত্র: কালের কণ্ঠ

পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন