কাহারোলে আগাম আলু চাষের ধুম

  26-10-2016 07:19PM

পিএনএস,দিনাজপুর : দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় আগাম জাতের আলু রোপনে ধুম পড়েছে। গত বছর ফলন ভাল হলেও দাম কম হওয়ার কারণে লোকসান হওয়ায় এবছর আগাম আলু চাষে ঝুকে পড়েছেন কৃষকেরা। সময়ের আগে আলু রোপন ঘিরে প্রাণচাঞ্চল্যে ফিরে এসে কৃষকদের মাঝে। কাহারোল কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলায় আলুর লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৯শ ৬০ হেক্টর।কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কাহারোল উপজেলায় রবি মৌসুমের অর্থকারী ফসল হিসেবে স্থান করে নিয়েছে আলু। বিশেষ করে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬নং রামচন্দ্রপুর ইউপি ও ৫নং সুন্দরপুর ইউনিয়নে আলুর বাম্পার ফলন হচ্ছে।

গত বছরে এই উপজেলায় প্রায় ২ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছিল। গত বছর আলুতে লোকসান হওয়ায় আরো বেশি জমিতে আলু চাষের সম্ভাবনা রয়েছে। এই পদ্ধতিতে একই মৌসুমে আলু চাষীরা ২ বার আলু চাষ করতে পারবেন বলে কৃষি বিভাগ আশা প্রকাশ করছেন।


সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে সুন্দরপুর ইউনিয়নের ইটুয়া, কান্তনগর, রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের নয়াবাদ, কাজী কাটনা, বলরামপুর, ঈশ্বরগ্রাম, ডাবোর ইউনিয়নের ডাবোর, চামদুয়ারী সহ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে আগাম ও স্বল্প মেয়াদী আমন ধান কর্তনের সাথে সাথে কৃষকেরা আগাম জাতের আলু রোপনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। একদিকে চলছে স্বল্প মেয়াদী আগাম জাতের আমন ধান কর্তন, অন্যদিকে চলছে ধান কর্তন, গরুর হাল কিংবা পাওয়ার টিলারের সাহায্যে জমি তৈরী। কোথাও কোথাও আগাম আলু রোপনে কৃষকেরা ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। কৃষকেরা বলেন, গত বছরের লোকসান আলু এই বছর আলু দিয়েই পুষিয়ে নেয়া হবে।

আগাম আলু বাজারে তুলতে পাড়লে ৫০/৬০ টাকা কেজি বিক্রি করা যাবে। গতকাল কাহারোল উপজেলা ইটু গ্রামের কৃষক আব্দুল জলিলের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি প্রায় ১০ বৎসর আগে থেকেই আলু রোপন করে আসছেন। কৃষকেরা বলেন যত আগে আলু রোপন করা যাবে ততই লাভ।

কৃষি বিভাগ জানায়, গত বছর আলুতে লোকসান পুষিয়ে নিতে এবং অধিক মুনাফার আশায় কৃষকেরা এবার আগাম আলু চাষের দিকে ঝুকেছেন। এই জন্য তারা বেছে নিয়েছেন আগাম জাতের ধান কর্তন করে আগাম জাতের আলু রোপন। চারা রোপনকৃত আগাম আলু ৬০/৬৫ দিনের মাথায় উত্তোলন করে কৃষকেরা ঐ জমিতে পুনরায় আলু লাগাতে পারবেন বলেও কৃষি বিভাগ জানায়। কাহারোল উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষি বিদ মোঃ শামীম হোসেন জানান, আবহাওয়া অনুকুল থাকায় এবং আলুর বীজ, সার সহ কৃষি উপকরণ এখন কৃষকের হাতের মুঠোই। তাই কৃষককে কৃষি উপকরণ নিয়ে ভাবতে হয় না। হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে সব কৃষি উপকরণ।



পিএনএস/বাকিবিল্লাহ্

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন