সগুনা ইউনিয়নের নাম পরিবর্তন রাখা হয়েছে মুক্তিনগর ইউনিয়ন

  04-12-2016 06:38PM

পিএনএস, গাইবান্ধাঃ ৭১’র স্বাধীনতা যুদ্ধে ফুলছড়ি উপজেলা উপজেলার হানাদার মুক্ত করার যুদ্ধে শহীদ ৫ বীর মুক্তিযোদ্ধার স্মরণে সাঘাটা উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের নাম পরিবর্তন রাখা হয়েছে মুক্তিনগর ইউনিয়ন।
ওই যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণকারি মুক্তিযোদ্ধা গৌতম চন্দ্র মোদকের স্মৃতি চারণ থেকে জানা যায়, ৭১’র ৩ ডিসেম্বর পাক বাহিনীর সাথে গাইবান্ধা সাঘাটা ফুলছড়ি উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের মুখোমুখি যুদ্ধের সেই কাহিনী।
ওইদিন গভীর রাতে মুক্তিযোদ্ধা গেরিলা কমান্ডার সামছুল আলম, কমান্ডার নাজিম উদ্দিন, আব্দুল জলিল তোতা, এনামুল হকের পরিচালনায় মুক্তিযোদ্ধারা ৪ দলে বিভক্ত হয়ে ব্রহ্মপুত্র পাড়ি দিয়ে ফুলছড়ি থানা সদরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান গ্রহন করে। ৪ ডিসেম্বরের ভোরে গেরিলা কমান্ডার সামছুল আলমের দলটি প্রথমে ফুলছড়ি থানা আক্রমণ করে উপর্যুপরি গ্রেনেড হামলা ও ব্যাপক গোলাবর্ষণ করে। এসময় অপর ৩টি দলের মুক্তিযোদ্ধারা সেখানকার পাক সেনাশিবিরের দিকে এগুতে থাকে। মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই ফুলছড়ি থানার পুলিশ সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পন করে। মুক্তিযোদ্ধারা থানার অস্ত্রাগারের সমূদয় অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নেয়। পরে সেনা সদস্যদের সাথে সম্মুখ যুদ্ধে ৫ মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। তারা হলেন আফজাল হোসেন, কবেজ আলী, যাহেদুর রহমান বাদল, ওসমান গণী এবং আব্দুল সোবহান। পরদিন শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী সাঘাটা থানার সগুনা ইউনিয়নের খামার ধনারুহা প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সমাহিত করা হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই ৫ বীর শহীদদের সম্মানার্থে সগুনা ইউনিয়নের নাম পরিবর্তন করে মুক্তিনগর ইউনিয়ন রাখা হয়। এই হানাদার মুক্ত দিবস স্মরণে এখনও ৭১’র ৪ ডিসেম্বর প্রতিবছর ধনারুহা গ্রামের সেই শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ এলাকায় দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা ও দুঃস্থদের মধ্যে খাদ্য বিতরণসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

পিএনএস/মো: শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন