এই দিনে গাইবান্ধায় পরাজিত হয় পাকসেনারা

  06-12-2016 03:39PM

পিএনএস, গাইবান্ধাঃ আজ ৭ ডিসেম্বর। গাইবান্ধা হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকসেনারা চরম ভাবে পরাজিত হয়ে পালিয়ে যায়। এখানকার পূর্বাকাশে উদিত হয় স্বাধীনতার লাল-সবুজের পতাকা। বিজয়ের আনন্দে ফেটে পড়ে গাইবান্ধার মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষ। শহরের স্বাধীনতা প্রাঙ্গণ মিলন মেলায় পরিণত হয়।

দিবসটি পালন উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড।

ইতিহাস স্বাক্ষী দেয়, একাত্তরের ১৭ এপ্রিল বিকেলে পাক হানাদার বাহিনী মাদারগঞ্জ ও সাদুল্যাপুর হয়ে গাইবান্ধায় প্রবেশ করে। তারা ভিএইডের ওয়ারলেস দখল করে। পরবর্তীতে গাইবান্ধা স্টেডিয়ামে (বর্তমান শাহ আব্দুল হামিদ স্টেডিয়াম) ঘাঁটি করে। সেখান থেকেই তারা শহর ও জেলার বিভিন্ন স্থানে পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞ, নারী নির্যাতন চালাতে থাকে।

ডিসেম্বরের প্রথম থেকেই গাইবান্ধার পূর্ব পাশ দিয়ে প্রবাহিত যমুনা-ব্রহ্মপুত্রের চরে অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধারা গাইবান্ধা শহরের দিকে এগোতে থাকে। তারা পূর্ব ও দক্ষিণ পাশে শহরের কাছাকাছি এসে পড়ে। একে একে সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা ও ফুলছড়ি থানা মুক্ত করে মুক্তিযোদ্ধারা চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে গাইবান্ধা শহর। দেশের অন্যান্য স্থানের মতো গাইবান্ধাতেও মুক্তিযোদ্ধা এবং পাক সেনাদের লড়াই অব্যাহত থাকে।

৬ ডিসেম্বর সকালে ভারতীয় বিমানবাহিনীর দুটি বিমান গাইবান্ধা রেল স্টেশনের পাশে বোমা ফেলে এবং বিকেলে ট্যাংক নিয়ে মিত্রবাহিনী শহরে প্রবেশ করে।

ওই দিন সন্ধ্যার দিকে গাইবান্ধা স্টেডিয়াম ও ওয়ারলেসের অবস্থান থেকে পাকসেনারা তাদের দোসর রাজাকার-আলবদরদের ফেলে রংপুর ক্যান্টনমেন্টের উদ্দেশে পালিয়ে যায়।

পরদিন ৭ ডিসেম্বর ভোরে কোম্পানি কমান্ডার মাহবুব এলাহী রঞ্জুর (বীর প্রতীক) নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের কালাসোনার চর থেকে বালাসী ঘাট হয়ে গাইবান্ধা শহরে প্রবেশ করে।

পিএনএস/মো: শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন