আমতলীর সুবন্ধী বাঁধ খালে কচুরীপানা কৃষকদের সমস্যার কোন অন্তনেই

  06-12-2016 05:50PM

পিএনএস,বরগুনা : বরগুনার আমতলী উপজেলার ৩০ কিলোমিটার ত্রিভুজ আকৃতির বন্ধ চাওড়া নদী। এ নদীর পানি প্রবাহ বৃদ্ধি ও কচুরীপানা অপসারণে এলাকাবাসীর দাবির পরিপেক্ষিতে গত মঙ্গলবার সকালে বরগুনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ নুরুজ্জামান চাওড়া নদীর কয়েকটি পয়েন্ট পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মুশফিকুর রহমানসহ , সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

বরগুনার আমতলী উপজেলার তিন ইউনিয়নের ফসলী জমির উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সুবন্ধী খাল কচুরীপানার জটে বর্তমানে মৃতপ্রায় অবস্থায়। পানির প্রবাহ নিয়মিত না থাকায় প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকা জুরে বয়ে যাওয়া এখালে কচুরীপানা নষ্ট হয়ে একদিকে যেমন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে কৃষক, মৎস্যজীবিদের জিবীকা নির্বাহ কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। গলাচীপার নদী মোহনা থেকে উৎপত্তি হওয়া এ খালটি থেকে কুকুয়া, চাওড়া, চন্দ্রা, হলদিয়া, লক্ষ্মী খাল, কাউনিয়া সহ প্রায় ৮/১০টি শাখা প্রশাখায় পানি প্রবাহিত হয়।

সরেজমিন দেখা গেছে কচুরীপানার জট তীব্র আকার ধারন করায় নৌ চলাচল একবারে বন্ধ রয়েছে। ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে। এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তি অপরিকল্পিতভাবে ¯¬ুইজ গেট আটকিয়ে মাছ ধরছে। এ কারনে নুন্যতম পানির প্রবাহও বন্ধ রয়েছে।

পানি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মাছ মরে ভেসে উঠছে। খালের মাছের উপর নির্ভরশীল প্রায় হাজারো জেলের যেমন দুচোখ অন্ধকার তেমনি পানি প্রবাহ না থাকায় কৃষকেরা সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এর দুই পারে চাওড়া হলদিয়া ও আমতলী ইউনিয়নের প্রায় ১লক্ষ মানুষের প্রায় ৩হাজার একর জমির ফসল ফলাতে কৃষকদের সেচ সমস্যার অন্ত নেই। নৌপথে জনচলাচল বিঘিত্ন হওয়ার পাশাপাশি শুস্ক মৌসুমে গরু মহিসের তেষ্টা মেটাতে সমস্যায় পরতে হচ্ছে। এমনকি কেউ গোসলও করতে পারছে না।

চাওড়া ইউনিয়নের ভুক্তভোগী কৃষক আব্দুর রব , আলী, আবুল হালদার, রফিক ও নসু ,মোজাম্মেলসহ আরও অনেকে জানান পানি প্রবাহ অনিয়মিত থাকায় খালে কচুরিপানার সৃষ্টি হয়ে পানি নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষি ফসলের জন্য বিখ্যাত এ অঞ্চলে আর ফসল হয়না ।

চাওড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান বাদল খান জানান, বর্তমানে খালের যে অবস্থা তাতে কৃষকদের সমস্যার কোন অন্তনেই। স্থানীয়রা বলেন২ ব্র্যান্ডের স্লুইজে কৃষকের তেমন উপকারে আসছেনা সুবন্ধি বাঁধটি চাওড়া,হলদিয়া, কুকুয়া বাসীর জন্য মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জি,এম, দেলোয়ার হোসেন বলেন জনসাধারনের সুবিদার জন্য যা কিছু করা দরকার তাই করা হবে ওখানে স্লুইজ নির্মানের কাজ চলছে । স্থানীয়রা অবিলম্বে কৃষকদের মরন ফাঁদ সুবান্ধী বাঁধ কেটে দেওয়ার দাবী জানান।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মোঃ নুরুজ্জামান জনগনের বক্তব্য শুনে বলেন, সমস্যা সমাধানের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ইউপি চেয়ারম্যান, স্থানীয় সুশিল সমাজের প্রতিনিধি, পাউবোর কর্মকর্তা, স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রকৌশলী ও সাংবাদিকদের নিয়ে নাগরিক কমিটি গঠন করবেন। এ কমিটি সভা করে সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য মতামত দিবেন। ওই মতামতের ভিত্তিতে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

পিএনএস/মো: শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন