ফোনে 'মা' বলে চিৎকার দেয়ার পরই মৃত্যুর খবর

  09-12-2016 06:33PM

পিএনএস: হতদরিদ্র পরিবারের ১০ বছরের শিশু কন্যা মিনারা ওরফে মিম অভাবের তাড়নায় গৃহপরিচারিকার কাজ নেয় ঢাকার এক ব্যাংকারের বাসায়। বুধবার ফোনে মা বলে জোরে চিৎকার দেয়। এরপর দুপুরে খবর আসে মিম গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

এদিকে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী এটাকে পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবি করেছে। তাদের অভিযোগ, মিমকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়।

মিম বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার কাঠিপাড়া গ্রামের হতদরিদ্র মোরসেল সরদারের মেয়ে।

শুক্রবার সকালে মিমের লাশ গ্রামের বাড়ি কাঠিপাড়া পৌঁছালে তার পরিবার ও এলাকাবাসী হত্যাকারীদের আটক ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

মিমের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, অভাবের তাড়নায় মিম এক বছর আগে ঢাকার ব্যাংকার রুহুল আমীন ও পলি দম্পতির বাসায় কাজ করতে যায়।

বুধবার দুপুরে মিমের মা আনজিরা বেগম ফোনে জানতে পারেন তার মেয়ে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

বিক্ষোভকারীরা জানান, শিশু মিম হত্যার ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে ওই প্রভাবশালীরা আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে।

মিমের মা আনজিরা বেগম জানান, বুধবার সকালে মিমের সঙ্গে তার ফোনে কথা হচ্ছিল। এ সময় মিম 'মা' বলে জোরে চিৎকার দেয়। এরপরে ১২টার দিকে তার মৃত্যুর খবর আসে।

মিমের মরদেহের সঙ্গে থাকা আমেনা খাতুন ও সোহেল জানান, ছোট মিমের পক্ষে অত উচু সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগানো সম্ভব নয়। এরপর ওই ব্যাংকার খিলগাঁও থানা পুলিশের কাছে ভুল ঠিকানা দিয়েছে। যেখানে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে নিহত মিমের বাড়ির ঠিকানা খুলনা লেখা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত পরিবারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের ব্যবহৃত ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

চিতলমারী থানার ওসি মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, নিহত শিশুর লাশের ময়নাতদন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনায় ঢাকার খিলগাও থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।


পিএনএস/বাকিবিল্লাহ্

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন