এমপি লিটন হত্যার তদন্ত আরও জোরদার করা হচ্ছে

  17-01-2017 06:03PM

পিএনএস, গাইবান্ধা : সুন্দরগঞ্জ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যাকান্ডে ঢাকা থেকে গ্রেফতারকৃত শিবিরের প্রশিক্ষিত ক্যাডার আশরাফুল ইসলাম ও জহুরুল ইসলামের আদালত নির্ধারিত দু’দিনের রিমান্ড মঙ্গলবার শেষ হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করে। লিটন হত্যাকারি সন্দেহে গ্রেফতারকৃত এই গুরুত্বপূর্ণ দু’জন আসামীর কাছ থেকে পুলিশ খুন সম্পর্কে কোন তথ্য উদঘাটন করতে পেরেছে কিনা সে ব্যাপারে কোন মুখ খুলছে না। ফলে এমপি লিটনের হত্যা তদন্ত ১৮ দিনেও যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই রয়ে গেছে। কাংখিত কোন অগ্রগতি হয়নি।

তবে পুলিশের একটি সুত্র থেকে জানা গেছে, এমপি লিটন হত্যাকান্ড তদন্ত কাজে নিয়োজিত র্যাব, পিবিআই, পুলিশ এবং গোয়েন্দা বিভাগের দলগুলোতে আরও নতুন নতুন চৌকষ অফিসার এনে সেগুলোকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। যাতে এই হত্যার তদন্ত আরও জোরদার করা যায়। তারা আশাবাদি এই হত্যাকান্ডের ব্যাপারে কাংখিত অগ্রগতি হবে এবং প্রকৃত হত্যাকারিরা অবশ্যই ধরা পড়বে। উলে¬খ্য, এই হত্যাকান্ডে এ পর্যন্ত সন্দেহভাজন হিসেবে তাদের মধ্যে ৯ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এর আগে গ্রেফতারকৃত ৮ জনকে ৭ দিন করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছিল।

এমপি লিটন হত্যায় প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ : লিটন হত্যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার বামনডাঙ্গার রেল স্টেশন চত্বরে ইউনিয়ন আ’লীগের উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সম্পাদক সমেস উদ্দিন বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খালেদ গাফলাদার, শহিদুল ইসলাম মাস্টার, নাদিম হোসেন, আবুল কালাম আজাদ, ফয়সাল শাকিদার আরিফ, মুশফিকুল হাসান পিয়াল, সিফাত চৌধুরী, জসিম উদ্দিন ডলার প্রমুখ।

বক্তারা এমপি লিটন হত্যাকান্ডের ১৮ দিন অতিক্রান্ত হলেও এখন পর্যন্ত প্রকৃত খুনিদের গ্রেফতার ও খুনের রহন্য উদঘাটন না হওয়ায় তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন এবং অবিলম্বে হত্যাকারিদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে আল্টিমেটাম ঘোষণা করেন।

পিএনএস/মো: শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন