৯২ জন জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীকে আটক

  18-01-2017 05:40PM

পিএনএস, গাইবান্ধা : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যাকান্ডের ১৯ দিনেও কোন রহস্য খুঁজে পায়নি পুলিশ। ইতোমধ্যে এই হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে মোট বুধবার পর্যন্ত ৯২ জনকে আটক করা হয়। এর মধ্যে একজন স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ ২০ জন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীকে এই হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

সুন্দরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আতিয়ার রহমান জানান, যেহেতু জামায়াত-শিবিরের সাথে এমপি লিটনের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক বিরোধ রয়েছে, সে কারণেই হত্যাকান্ডের শুরু থেকেই ওই বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে সন্দেহভাজন ৯২ জন জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। কিন্তু তাদের কাছ থেকে এই হত্যাকান্ড এবং হত্যাকারি সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য কোন তথ্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি।

সে কারণেই পুলিশ জামায়াত-শিবিরের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের লিটন বিরোধী গ্র“পসহ নব্য জেএমবি জঙ্গিবাদের পাশাপাশি আভ্যন্তরীন কোন্দলের বিষয়টিকেও সমান প্রাধান্য দিয়েও হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং প্রকৃত খুনিদের চিহ্নিত করতে নতুন করে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে।

এদিকে মামলার বাদি ফাহমিদা বুলবুল মুঠোফোনে জানিয়েছেন, পুলিশ, র্যাব, পিবিআইসহ বিশেষায়িত বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতা সত্বেও এখনও লিটন হত্যা মামলার তদন্তের কোন অগ্রগতি না হওয়ায় তিনি এবং এমপি লিটনের পরিবার-পরিজন তারা চরম হতাশ হয়েছেন।

লিটনের স্ত্রী সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতি জানান, লিটনের একমাত্র পুত্র সাকিব আদনান রাতিন ঢাকায় পরিবার-পরিজনের সাথে থাকতেও এখন চরম নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছে। এমনকি সুন্দরগঞ্জে আসতেও সে সাহসী হচ্ছে না। শুধু তাকেই নয়, এমপি লিটনের পরিবার-পরিজনকেও এখন জামায়াত-শিবিরের সহিংসতা ভীতি পেয়ে বসেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এদিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় প্রগতিশীল ও স্বাধীনতা স্বপক্ষের রাজনীতিবিদরাও চরম আতংকগ্রস্ত এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ইতোমধ্যে সরকার দলীয় অনেক নেতাকর্মী এমপি লিটন হত্যার বিচার চেয়ে চলমান আন্দোলনগুলো থেকেও সরে পড়তে শুরু করেছেন।

পিএনএস/মো: শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন