গুলিসহ অস্ত্রের সন্ধানে কাদেরের বাড়িতে পুলিশের অভিযান

  22-02-2017 09:41PM

পিএনএস, গাইবান্ধা : গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) জাতীয় পার্টির প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান কর্ণেল (অব.) ডা. আব্দুল কাদের খাঁন তার পিস্তলের ৫০ রাউন্ড গুলির মধ্যে ১০ রাউন্ড গুলি পুলিশের কাছে জমা দিলেও বাকি ৪০ রাউন্ড গুলি লাপাত্তা। তিনি এই লাপাত্তার কোন হিসেবও দিতে পারেননি। বুধবার বিকাল থেকে লাপাত্তা হওয়া গুলিসহ অস্ত্রের সন্ধানে তার বাড়িতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে জেলা আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।

সুন্দরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিয়ার রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কর্নেল আব্দুল কাদের খাঁন ১০ মার্চ একটি পিস্তুল ও ৫০ রাউন্ড গুলি ক্রয় করেন। ৩১ জানুয়ারী সন্ধ্যা সোয়া ৬ টার দিকে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিজ বাড়িতে গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন নিহত হন। এ ঘটনার পর কর্ণেল আব্দুল কাদের খাঁনের নিকট ওই ৫০ রাউন্ড গুলির বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। এরই প্রেক্ষীতে তিনি ৫০ রাউন্ড গুলির মধ্যে মাত্র ১০ রাউন্ড গুলিসহ পিস্তুলটি পুলিশের কাছে জমা দেন। বাকি ৪০ রাউন্ড গুলির কোন হিসেব দিতে পারেননি।

ওসি আরও জানান, গত মঙ্গলবার ভোররাতে শহরের ব্রীজ রোড এলাকা থেকে আব্দুল হান্নান, মেহেদী ও শাহিন নামে ৩ যুবককে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে আব্দুল হান্নান কর্নেল আবদুল কাদের খাঁনের গাড়িচালক। আর মেহেদী ও শাহীন বাড়িতে কাজ করতেন। গ্রেফতারের পর তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তারা সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যার ঘটনায় জড়িত বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। স্বীকারোক্তি অনুযায়ী লিটন হত্যায় তারা কর্নেল আব্দুল কাদের খাঁনের দেওয়া পিস্তুল ব্যবহার করেছেন। লিটন হত্যায় যে পিস্তুল ও গুলি ব্যবহার করা হয় তা কাদের খাঁনের পিস্তুল ও গুলির সঙ্গে মিল রয়েছে।

৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে শাহবাজ (মাস্টারপাড়া) এলাকায় নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এ ঘটনায় লিটনের বোন তাহমিদা বুলবুল কাকলি সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয়ে ৫ জন দুর্বৃত্তকে আসামি করা হয়েছে।

পিএনএস/মো: শ্যামল ইসলাম রাসেল



@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন