চিরিরবন্দরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সাথী ফসল

  23-02-2017 09:02PM

পিএনএস, চিরিরবন্দর(দিনাজপুর)প্রতিনিধি : ইছামতি, আত্রাই ও বেলান নদী বহমান চিরিরবন্দরউপজেলা। কৃষি ও মৎস্য আহরণই এ উপজেলার মানুষের প্রধান আয়ের উৎস।দিনাজপুর জেলার বৃহত্তর চিরিরবন্দরউপজেলায়সাথী ফসল ব্যাপক হারে প্রসারন পাচ্ছে। বর্তমানে সাথী ফসলসহ দুই বা তারও বেশি ধরনের ফসল চাষ করা হচ্ছে। এখানকার কৃষকরা আগে ফসলি জমিতে শুধু ধান চাষ করলেও এখন সাথী ফসল চাষাবাদ করছেন তারা। সাথী ফসল চাষ করে কৃষকরা সাফলতা পেয়েদিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে একই সঙ্গে দুই ধরনের ফসল চাষ ।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, কৃষি খাতকে উন্নয়নমুখি ও লাভজনক করতেচিরিরবন্দরেফসলি জমিগুলোকে দুই ফসলি করার চেষ্টা চলছে। বর্তমানে উপজেলায় অনেক জমিতে এখন সাথী ফসল চাষ করছেন কৃষকরা।চিরিরবন্দর উপজেলার ফতেজংপুর ইউনিয়নের রাজাপাড়ার কৃষক রহমান আলী জানান, তিনি এ বছর সাথী ফসল হিসেবে আলুর সঙ্গে ভুট্টা চাষ করেছেন। আলু তোলা শেষ। এখন চলছে ভুট্টার পরিচর্যা। এ বছর তিনি প্রায় ৪০ শতাংশ জমিতে সাথী ফসল চাষ করেছেন। তার মতো স্থানীয় অনেকেই আলুর সঙ্গে ভুট্টা চাষ করছেন।

উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নের তেলীপাড়া গ্রামের কৃষক মতিয়ার হোসেন জানান, তিনি এ বছর এক একর জমিতে আলুর সঙ্গে ধনিয়া, লাল শাক ও মরিচ চাষ করেছেন। এসব সবজির পাশাপাশি একই জমিতে চাষ করেছেন পুঁইসহ দুই ধরনের শাক। পর পর একাধিক ফসল চাষ করে তারা লাভবান হয়েছেন। তবে এক্ষেত্রে পরিবারের লোকজনকে সার্বক্ষণিক পরিশ্রম করতে হয়।একই গ্রামের কৃষক নজরুল, জাকির, মুকুল,শাহীনুর,লাবলু ও বেলাল হোসেন ব্যাপক হারে সাথী ফসল চাষ শরু করছেন।তারা জানায়, ধনিয়া, লাল শাক, আলুর শাক, ক্ষীরা, পুঁই শাক, মরিচ ও আলুর সঙ্গে সাথী ফসল হিসেবে ভুট্টা চাষ করছেন।

আলোকডিহি ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রোহিনী কান্ত রায় জানান, এই ইউনিয়নের কৃষকরা সাথী ফসল চাষ অধিক হারেপ্রসারন শুরু করেছেন।এ ইউনিয়নে প্রায় বেশী ভাগ জমিতে ব্যাপক হারে সাথী ফসল চাষাবাদ করা হচ্ছে । এ ফসল চাষাবাদ করার জন্য জৈব সারই বেশি ব্যবহৃত হয়। এ কারণে বীজ কেনা ছাড়া তেমন কোনো খরচ নেই। তবে আলু ও ক্ষীরা চাষে কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়।

উপজেলায় কৃষি অফিসার মো: মাহমুদুল হাসান জানান, চিরিরবন্দরে ফসলি জমিগুলোকে দুই ফসলি করার জন্য উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া সাথী ফসল চাষাবাদ করার প্রতি কৃষকদের আগ্রহ অনেক বেশি।

পিএনএস/মো: শ্যামল ইসলাম রাসেল


@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন