ঝালকাঠির নেপথ্য জেলা আ’লীগের নব্য সহসভাপতি আরিফ

  30-03-2017 08:48PM

পিএনএস, ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠি সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সম্পাদক মো. সুলতান হোসেন খানকে হত্যার ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে জেলা আ’লীগের নব্য সহসভাপতি আরিফ হোসেন খান সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আরিফ খানকে নেপথ্য শেল্টারদাতা দাবী করে লতিফ মাষ্টার, উত্তম দাস, আরিফ খানের শ্যালক মোস্তাফিজসহ ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা গত ২৮মার্চ হত্যার নীলনকশা করেছিল উল্লেখ করে সাংবাদিকদের তথ্যপ্রমান হিসাবে ভয়েজ রেকর্ড বাজিয়ে শুনানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এক জনাকীর্ন সংবাদ সম্মেলনে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী উপজেলা চেয়ারম্যান মো. সুলতান হোসেন খান লিখিত বক্তব্য ও বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।

অন্যদিকে উপজেলা চেয়ারম্যানকে হত্যার নীলনকশা প্রনয়নকারী ও স্থানীয় পর্যায় বাস্তবায়নকারীদের বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কীর্তিপাশা বাজারের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও একই দাবীতে ঝালকাঠি-কীর্ত্তিপাশা সড়কে অটো রিক্সাসহ সকল ধরনের যান চলাচল বন্ধ রেখে অর্ধদিবস ধর্মঘট পালন করেছে। ঝালকাঠি আওয়ামীলীগের শীর্ষ দুই নেতার মধ্যে সৃষ্ট এ বিরোধ প্রকাশ্যে রুপলাভ ধারন করায় জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অংগ ও সহযাগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এ সময় তিনি বলেন, ঝালকাঠির অভিভাবক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপি’র নির্দেশে সদর উপজেলাকে মাদক ও দুর্নীতি মুক্ত করার লক্ষ্যে একটি সভায় মাদক সেবী ও ব্যবসায়ীদের ধরিয়ে দিলে পুরস্কার ঘোষণা করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আব্দুল লতিফ মিয়া, শরীফ মোস্তাফিজুর রহমান, উত্তম দাস, ইদ্রিস, মনির হোসেনসহ একটি কুচক্রি মহল আমাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে। তাঁদের কথোপকথনের অডিও রেকর্ড থেকে ষ্পষ্ট ভাবে বোঝা যায় ২৮মার্চ তারা এ হত্যা পরিকল্পনা করা করে ছিলো। এ পরিকল্পনার মাস্টার মাইন্ড হিসেবে কাজ করেন আব্দুল লতিফ। অর্থ ও মদদদাতা হিসেবে কাজ করছে জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আরিফ খান এবং তার শ্যালক মোস্তাফিজুর রহমান ভাড়াটিয়া কিলারদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করতো।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার এ এম আলাউদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও বাসন্ডা ইউপি চেয়ারম্যান মোবারেক হোসেন মল্লিক, সদর উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক লিয়াকত আলী খান, ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা মিহলা আ’লীগের সভানেত্রী ইসরাত জাহান সোনালী, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর তরুন কর্মকার, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করীম জাকির, পৌর কাউন্সিলর হাফিজ আল মাহমুদ, হুমায়ুন কবীর, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস শুক্কুর মোল্লা, রেজাউল কবির, মোয়াজ্জেম হোসেন টিপু, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, গোলাম মাওলা মাসুম শেরওয়ানী, মোঃ সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

ব্যাবসায়ীরা জানিয়েছে গত সোমবার (২৭ মার্চ) রাত ৯ টার দিকে ঝালকাঠি-কির্র্ত্তীপাশা সড়কের রামনগর পুলিশ বক্সের সামনে বসে উপজেলা চেয়ারম্যাকে হত্যা চেষ্টার পরিকল্পনা করে আব্দুল লতিফ মিয়ার (৫৫) নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে গাড়ীতে থাকা কয়েকজন যুবক আব্দুল লতিফ মিয়াকে ধরে ফেলে তার সাথে থাকা অন্যান্যরা পালিয়ে যায়। উপজেলা চেয়ারম্যানকে হত্যার পরিকল্পনার বিষয়ে আব্দুল লতিফ মিয়াসহ অন্যদের সাথে মোবাইফোনে কথোপকথনের রেডর্ক উদ্ধার করা হয়েছে। তারা এই পরিকল্পনা কারিদের আইনের আওতায় এতে দ্রুত বিচারের দাবি জানান।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন