পিএনএস ডেস্ক: রাজশাহীর তানোরে সালিশের নাম করে ধর্ষণ চেষ্টার শিকার এক এক গৃহবধূকে শাস্তি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় সালিশের তিন বিচারক এবং ধর্ষণ চেষ্টাকারীর বিরুদ্ধে সোমবার বিকালে তানোর থানায় মামলা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কলমা ইউনিয়নের বিল্লি দিঘিপাড়া গ্রামের লিয়াকত আলীর বখাটে ছেলে বেলাল উদ্দীন (২৮) পাশের বাড়ির এক দিনমজুরের স্ত্রীকে দীর্ঘদিন থেকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল।
গৃহবধূর স্বামী কাজের সন্ধানে রাজধানী ঢাকায় অবস্থানকালে বখাটে বেলাল গত ১৬ এপ্রিল রাত ১টার দিকে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ঘরে ঢুকে মুখ চেপে ধরলেও গৃহবধূর বাধায় বেলাল ব্যর্থ হয়।
এ ঘটনায় গত ১৯ এপ্রিল তানোর থানায় অভিযোগ করার পর গৃহবধূকে সালিশে বসার জন্য চাপ দেয় গ্রামের মোড়ল ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
পরে শনিবার রাতে সালিশ বসে। এতে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ স্বীকার করায় বেলালকে সাড়ে আট হাজার টাকা জরিমানা এবং সাতবার কান ধরে ওঠবস করানো হয়।
ওই সালিশে গৃহবধূকেও সাতবার কান ধরে ওঠবস করানো হয়। এছাড়া তার কাছ থেকে জোর করে সমঝোতা কাগজে সই নেয়া হয়।
এ ঘটনা অবহিত হয়ে সোমবার বিকালে ধর্ষণ চেষ্টাকারী বেলাল এবং শালিসের তিনি বিচারক সাজ্জাদ, মোজাহার ও সামসুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ।
মামলার ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করলে বেলালের বাবা লিয়াকত আলী বলেন, মামলার ব্যাপারে তারা অবগত নন। শনিবার রাতে বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে বলেও দাবি করেন তিনি।
পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম
সালিশে ধর্ষণ চেষ্টার শিকার নারীকেই শাস্তি!
25-04-2017 02:19AM