চিরিরবন্দরে ভেঙে পড়ল ভরসার একমাত্র বাঁশের সাঁকো

  25-04-2017 03:39PM

পিএনএস, চিরিরবন্দর(দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়কের রাণীরবন্দর বাজার থেকে খানসামা রোড হয়ে উত্তর দিকে রাণীরবন্দর হাট এর ৫০ গজ পূর্ব-উত্তর কোণে নশরতপুর ঈদগাঁহ মাঠ সংলগ্ন ১০ গ্রাম মানুষের স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ইছামতি নদীতে নির্মিত ৯০ ফিট এ বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে পড়েছে। ফলে ইছামতি নদী দিয়ে বিভক্ত দুই পারের প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এলাকাবাসী স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের কাছে সাঁকোটি পুননির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

ওই এলাকার মকবুল, নাসিম বেয়ারী, জাহিদুল ইসলাম বলেন, সাঁকোর পরিবর্তে পাকা সেতুর জন্য দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। কিন্তু তাতে প্রশাসনের কোনো নজর নেই। তারা আরো জানায়, আমরা চাঁদা তুলে এলাকাবাসীর উদ্যোগে দীর্ঘদিন ধরে স্বেচ্ছা শ্রমের মাধ্যমে তৈরি এ সাঁকো দিয়েই উপজেলার নশরতপুর, চকগোবিন্দ, আলোকডিহি, ফতেজংপুর, উত্তর পলাশবাড়ী, খানসামা উপজেলার দুবলিয়া, গোয়ালডিহি, লালদিঘী, নীলফামারীর বড়–য়া সহ ১০ টি গ্রামের প্রায় ৫০হাজার লোকের যাতায়াতের একমাত্র পথ ছিলো এ বাঁশের সাঁকো। কিন্তু কয়েকদিনের টানা বর্ষন ও কালবৈশাখী ঝড়ে সাঁকোটি ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। এরপর থেকে প্রায় চার কিলোমিটার পথ ঘুরে চলাচল করছে মানুষ।

গছাহার গ্রামের ব্যবসায়ী জিয়ারুল হক (৩৫) বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন জায়গায় বলেও সেতু করতে পারিনি। তাই যুগ যুগ ধরে নিজেরাই চাঁদা তুলে এই বাঁশের সাকোঁ বানিয়ে আসতেছি। সেটা এখন ভেঙে যাওয়ায় আমরা এখন মহাবিপদে পড়েছি। একই গ্রামের এনজিও কর্মী সাধনা রায় বলেন, ‘বিরিজ-টিরিজ পরে। এখন আমাদের নগদ দরকার বাঁশের সাঁকো। এটা করলেই আমাদের এখনকার কষ্ট কমে।

একই গ্রামের জসিম উদ্দিন (৪০) আব্দুল গফুর ৬০ বলেন, পাকা সেতু পরে হবে, আগে বাঁশের সাঁকোটি আবার তৈরি করা দরকার। তা না হলে দুই পারের মানুষের অনেক সমস্যা হচ্ছে। নশরতপুর ইউপির চেয়ারম্যান নুর ইসলাম নুরু বলেন, এলাকাবাসী সাঁকোটি পুননির্মাণের উদ্যোগ নিলে আমি সব ধরনের সহযোগিতা করব। তবে এখানে একটি পাকা সেতু দরকার। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আগেও জানিয়েছি। আবারও জানানো হবে।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন