মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীকে জুতা প্রদর্শন

  26-04-2017 03:33PM

পিএনএস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের আওয়ামী লীগের ৪ বারের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছায়েদুল হকের বিজয়নগরে আগমন ঠেকাতে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জুতা নিয়ে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফয়জুন নাহার টুনিও ছিলেন।

গত রোববার সকাল থেকেই বিজয়নগরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মন্ত্রীকে ঠেকাতে রাস্তায় অবস্থান নেন। তাঁদের মধ্যে জুতা হাতে বিজয়নগরের চম্পনগরের টুনিকে দেখা যায়।

ওই দিন বিজয়নগরে প্রাণিসম্পদ উন্নয়নকেন্দ্র উদ্বোধন করতে সেখানে যাওয়া নিয়ে ছায়েদুল হকের সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিরোধিতায় জড়িয়ে পড়েন। এরপর ওই দিন জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে জেলা আওয়ামী লীগ। এই অবস্থায় যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, বিজয়নগর, আশুগঞ্জ ও সরাইল উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন। গত শনিবার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে এই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। ওই দিন ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জুতা হাতে নিয়ে রাস্তায় নামেন। তবে বিক্ষোভের মধ্যেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া পাহারায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বিজয়নগরে গিয়ে প্রাণিসম্পদ উন্নয়নকেন্দ্র উদ্বোধন করেন।

ওই দিনের ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুন নাহার টুনি ডান হাতে জুতা নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাঁর পাশেই থাকা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা (এপিবিএন) বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের ঠেকাচ্ছেন। সেখানে নেতাকর্মীরা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। তাঁদের সঙ্গে তাল মেলান টুনিও। তাঁরা সবাই মন্ত্রীর গাড়ির উদ্দেশ্যে জুতা তুলে প্রতিবাদ করেন।

জুতা হাতে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাস্তায় নামা প্রসঙ্গে উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফয়জুর নাহার টুনি বলেন, ‘মন্ত্রী আমাদের পেছনে ফেলার জন্যই কাউকে তাঁর অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেননি। এ কারণেই আমরা জুতা নিয়ে এর প্রতিবাদ করেছি।’ জনপ্রতিনিধি হিসেবে এই প্রতিবাদ করা ঠিক হয়নি বলেও জানান তিনি। অবশ্য এর আগে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে টুনির বাড়ি থেকে এক মণ গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ সম্পাদক এ কে এম শিবলী বলেন, রাজনৈতিকভাবে কাদা ছোড়াছুড়ি গণতন্ত্রের পরিপন্থী। প্রতিবাদের ভাষায় একটা শালীনতা থাকা দরকার। জনপ্রতিনিধি হয়ে তিনি (ফয়জুর নাহার টুনি) এভাবে জুতা দেখিয়ে প্রতিবাদ করতে পারেন না।

পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন