ইউপি সদস্যকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করলো পুলিশ

  28-04-2017 09:16PM

পিএনএস, শেরপুর (বগুড়া) সংবাদদাতা : বগুড়ার শেরপুরে মুঠোফোনে কথা বলতে অস্বীকার করায় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামকে জনসম্মুখে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার (২৭এপ্রিল) সন্ধ্যারাতে পুলিশের একজন সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ইকবালের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাটি ঘটিয়েছেন। পুলিশের বেধড়ক মারপিটে আহত ওই ইউপি সদস্যকে গতকাল শুক্রবার (২৮এপ্রিল) দুপুরে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) শহিদুল ইসলাম জানান, থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক ইকবাল সম্প্রতি তার এলাকার সাধারণ মানুষকে নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। এহেন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় ওই পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে তার কথাকাটাকাটি হয়। এরই জেরধরে আমাকে ফাঁসানোর নানামুখি পায়তারা চালাতে থাকে। এদিকে এএসআই ইকবাল একদল পুলিশ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যারাতে স্থানীয় জামাইল বাজারে আসেন।

একপর্যায়ে বাজারের এক দোকানির মুঠোফোন থেকে তার ফোনে ফোন দেয়। কিন্তু কথা বলতে অস্বীকার করায় ওই পুলিশ কর্মকর্তা ক্ষেপে যান। এমনকি উত্তেজিত হয়ে মুঠোফোনে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। পাশাপাশি দ্রুত জামাইল বাজারে এসে তার দেখা করতে বলেন। ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, জামাইল বাজারে আসামাত্র পুলিশ কর্মকর্তা ইকবালসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ তাকে টেনে হেঁচড়ে পুলিশ ভ্যানে তুলতে থাকে। কারণ জানতে চাইলে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। এমনকি বিবস্ত্র করে তাকে পুলিশ ভ্যানে তুলে থানার দিকে রওয়ানা হন।

এসময় জামাইল বাজারে অসংখ্য মানুষ উপস্থিত ছিলেন। একপর্যায়ে মির্জাপুর ব্র্যাক বটতলা নামক স্থানে রাস্তার পাশে তাকে ফেলে রেখে পুলিশ চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান বলে ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম জানান। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেরপুর থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ইকবাল বলেন, ওইরাতে সন্ধ্যাকালীন দায়িত্ব পালন করছিলাম। এসময় শহিদুল মেম্বার মুঠোফোনে তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। এনিয়ে তার সঙ্গে কেবল কথা কাটাকাটি হয়েছে। এছাড়া আর কোন ঘটনা ঘটেনি বলে এই পুলিশ কর্মকর্ত দাবি করেন।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন