চিরিরবন্দরে বর্ষার দূত ফুটেছে কদম ফুল

  25-05-2017 01:00PM



পিএনএস, চিরিরবন্দর(দিনাজপুর): বর্ষা নিয়ে এমন অনেক গান-কবিতা রচিত হয়েছে। আষাঢ় ও শ্রাবণ এই দুই মাস বর্ষাকাল। বাঙালির প্রিয় ঋতুর একটি। বর্ষাকাল শুরু হতে এখনো কিছু দিন বাকি। কিন্তু তারই আগমনী বার্তা নিয়ে চিরিরবন্দরের বিভিন্ন জায়গায় ফুটতে শুরু করেছে বর্ষার ফুল কদম। কদম ফুলকে বলা হয় বর্ষার দূত। প্রতিবছরই বর্ষার আগাম বার্তা নিয়ে বর্ষা ঋতুর প্রথম মাস আষাঢ়ের আগেই ফুটে কদম ফুল। আর এটাই আবহমান বাংলার চিরায়িত নিয়ম। বর্ষার বিরামহীন বর্ষণের কথা মনে করে দিয়ে গাছের শাখে শাখে সবুজ পাতার আড়ালে ফুটে উঠেছে অসংখ্য কদম ফুল। হলুদ সাদার সংমিশ্রনে গোল বল আকৃতির এই ফুল এখন কদমের গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে। বাড়ির পাশের ঝোপঝাড়ে গজিয়ে উঠা বনবৃক্ষ কদমের গাছে গাছে ফুলে উঠা ফুলের সুগন্ধে লোকালয় পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে মানুষের মনে জাগিয়ে দিচ্ছে বর্ষার আসার অনুভূতি। আকাশে মেঘের গর্জন আর প্রচন্ড বর্ষণই বলে দেয় এটা কদম ফুলের সময়। বর্তমানে এই ফুল গাছটি প্রকৃতি থেকে একরকম বিলিন হয়ে যাওয়ার পথে। আগের মতো যেখানে সেখানে দেখা যায় না এই অরুপ সৌন্দর্যে প্রতিক কদম গাছ।

গ্রামের শিশু- কিশোরেরা কদমতলায় কদম ফুল নিয়ে খেলা করতো। মানুষ প্রিয়জনকে কদম ফুল উপহার দিত। কিন্তু আজ ধীরে ধীরে তা একেবারেই হারিয়ে যেতে চলেছে। কদম ফুলের সৌন্দর্যে যেন দাগ পড়েছে। লাভের অঙ্কের হিসাব মেলাতে মানুষ আর বাড়ির আঙ্গিনায় কদম ফুলের গাছ লাগাতে চাইছে না। কদম গাছের জায়গায় মেহগনিসহ প্রভৃতি দামি কাঠের গাছ রোপনে ঝুঁকছে তারা। সৌভাগ্যক্রমে চিরিরবন্দরে বিভিন্ন জনপদে এখনো অসংখ্য কদম ফুল গাছ এখনও টিকে রয়েছে।

বর্তমানে যান্ত্রিক সভ্যতা ও নগরায়ণের যুগে কমতে শুরু করেছে কদম গাছ। আদিকাল থেকে কদম ফুল আমাদের প্রকৃতির শোভা বর্ধন করে আসছে। কদম ফুল ছাড়া বর্ষা যেন একে বারে বেমানান। কিন্তু প্রকৃতির মাঝ থেকে কদম গাছ চিরতরে হারিয়ে গেলেও বাংলা সাহিত্যে রিমঝিম আষাঢ় কদমকে তার চিরসঙ্গী করে রাখবে। সে জন্য প্রকৃতির ঐতিহ্য রক্ষায় সরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে অন্য গাছের পাশাপাশি কদম গাছ রোপণ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন প্রকৃতিবীদরা।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন