হাতীবান্ধায় অসুস্থ নারীকে জোর পূর্বক হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ

  25-05-2017 04:14PM

পিএনএস, লালমনিরহাট : লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলা হাসপাতাল থেকে মহিফুল খাতুন নামে এক অসহায় অসুস্থ নারী পুলিশের ভয় দেখিয়ে জোর পূর্বক বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক নাঈম হাসানের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় আরও অনেক অভিযোগ রয়েছে চিকিৎসক নাঈম হাসানের বিরুদ্ধে। সে বেশীর ভাগ সময় স্থানীয় কয়েকটি ক্লিনিকে সময় দেয় আর সেখানে টাকা বিনিময় রোগীদের চিকিৎসা করে। হাসপাতালে কোন ডেলিভারী রোগী আসলে সে ওই সব ক্লিনিকে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। আর রোগী ক্লিনিকে গেলেই মোটা অংকের বিনিময়ে সে ডেলিভারী করায়।

ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুরে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স।অসহায় মহিফুল খাতুন নিলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্ব খড়িবাড়ি গ্রামের রমজান আলির মেয়ে। নদী ভাঙ্গনের কারণে তারা বর্তমান তিস্তা নদীর বাধে বসবাস করছে। আর অভিযুক্ত নাঈম হাসান হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, অসুস্থ মহিফুল খাতুন হাসাপালের বারান্দার মেঝেতে শুয়ে আছে । আর তার বৃদ্ধা মা পিঞ্জিরা বেগম দেয়ালে হেলান দিয়ে তার পাশে বসে আছে। তারা আশে পাশে ঘোরাঘুরি করছে কর্মরত নার্সরা। তারা যেন দেখেও না দেখার ভান করছে।

এসময় পিঞ্জিরা বেগম জানান, গত মঙ্গলবার আমার অসুস্থ মেয়ে মহিফুল খাতুনকে হাসপাতে ভর্তি করি। কিছুটা সুস্থ হয়েছে সে। আজ হঠাত করে ডাক্তার নাঈম স্যার আমাকে আমার মেয়ে রংপুরে নিয়ে যেতে বলে। তখন আমি বলি স্যার আমরা গরীব মানুষ। আমার স্বামী বৃদ্ধ অসুস্থ। আমি কেমন করে আমার মেয়ে মহিফুলকে রংপুরে নিয়ে যাব। তবুও সে আমাকে ও আমার মেয়েকে হাসপাতাল ছাড়তে বলে। আমরা তার কথা না শুনলে সে জোর পূর্বকভাসে হাসপাতাণের বেড থেকে আমাদের নামিয়ে দেয়। আর বলে আমরা যদি চলে না যাই তাহলে পুলিশে দিবে।

এ সময় এক সেবিকা জানান, তার মেয়ে বিছানায় প্রসাব ও পায়খানা করে। এ বিষয়ে রোগীরা অভিযোগ করেছে তাই তাদেরকে হাসপাতাল ছাড়তে বলা হয়েছে। এদিকে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা নাঈম হাসানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কলটি রিসির্ভ করেনি সে।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (প.প) চিকিৎসক রমজান আলী জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই তবে আমি খোঁজ নিয়ে রোগীকে থাকার ব্যবস্থা করছি।


পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন