নওগাঁয় ককটেল বিষ্ফোরনের ঘটনায় আটক রাসেলের সহযোগীদের আটক করেছে পুলিশ

  26-05-2017 05:22PM

পিএনএস, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি : নওগাঁর পত্নীতলায় উপজেলা সদর নজিপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গত বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ককটেল বিষ্ফোরনের ঘটনায় দুটি ককটেল সহ আটক রাসেল (১৪) দেয়া তথ্য অনুসারে বৃহস্পতিবার রাতে তার চক্রের অন্যান্য সদস্যদের আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।

জানাগেছে, চাপাই নবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার ছোটজাম বাড়িয়া গ্রামের বিদ্যুৎ ব্যাপারীর পুত্র রাসেল (১৪) সহ ৭/৮ জন দূষ্কৃতিকারী একটি সিএনজি যোগে নজিপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আসে। এসময় রাসেলের হাতের ব্যাগে থাকা একটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়। ঐসময় নৈশ প্রহরী সহ স্থানীয়রা ককটেল বিষ্ফোরনের শব্দ পেয়ে তাদের তাড়া করলে বাকিরা পালিয়ে গেলেও রাসেলকে একটি ব্যাগ সহ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশ ওই ব্যাগ থেকে দুইটি অবিস্ফোরিত ককটেল ও সীঁধ কাটা একটি যন্ত্র উদ্ধার করে।

আটক রাসেলের দেয়া তথ্য অনুসারে বৃহষ্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার মাটিন্দর ইউপির সিধুয়া এলাকা সহ ধামইরহাট ও সাপাহার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তার চক্রের অন্যান্য ৬জন সহযোগীকে চুরি করার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিস ও ককটেল তৈরীর সরঞ্জামাদি সহ আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

আটককৃতরা হলো, সাপাহার উপজেলার ধবলডাঙ্গা গ্রামের মৃত নূর মোহাম্মদের পুত্র আলম (৩৬), একই উপজেলার ভোট্টা পাড়া গ্রামের কালু মন্ডলের পুত্র আবুতাহের (৪২), তার পুত্র নুরুজ্জামান (১৮), সাপাহার উপজেলার বড় মির্জাপুর গ্রামের মজিবর রহমানের পুত্র সুমন (১৮), চাপাই নবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার পলাশবাড়ি গ্রামের মৃত কছিম উদ্দীনের পুত্র লালু (৩৫), একই উপজেলার কাশিয়া বাড়ি গ্রামের মজিবর রহমানের পুত্র সোহেল (৩০)। এসময় সাপাহার উপজেলার দোয়ালী গ্রামের ফয়জার রহমানের পুত্র মিঠু (৩০) পালিয়ে গেছে বলে পুলিশ জানায়।

আটককৃতদের কাছ থেকে অবিষ্ফোরিত লাল টেপ দিয়ে মোড়ানো দুটি ককটেল, একটি বিষ্ফোরিত ককটেলের অংশ বিশেষ, একটি সিঁধকাটা যন্ত্র, তিনটি লাল রঙের টেপ, দুটি কালো রঙের টর্চ লাইট, ককটেল তৈরির জন্য পাথরের টুকরো, একটি বড় হাসুয়া উদ্ধার করেছে।

এঘটনায় পত্নীতলা থানার এসআই রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে ২টি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ৩১ ও ৩২। তাং- ২৫/০৫/২০১৭। ৩১নং মামলায় বিষ্ফোরক ও ডাকাতির প্রস্তুতি গ্রহন এবং ৩২নং মামলাটি মাদকদ্রব্য আইনে করা হয়েছে।

পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ মাজাহারুল ইসলাম জানান, উক্ত মামলা গুলি ১৯০৮ সালের বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩/ ৫/৬/৩৯৯ দন্ডবিধি ধারায় করা হয়েছে। আটককৃতরা প্রত্যেকেই আন্ত জেলা দৃষ্কৃতিকারী বলে তিনি জানান।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন