ডিমলায় জমি সংক্রান্ত জেরে শিক্ষককে মারপিট

  27-05-2017 08:35PM

পিএনএস, ডিমলা নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানী ইউনিয়নের বুড়ির হাট গ্রামের মৃত অশ্বিনী কুমার রায়ের পুত্র আকাশকুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক চন্দন কুমার রায়কে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষরা মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ পত্র সূত্রে জানা গেছে, খালিশা চাপানী মৌজায় জেলএলনং-৪৮, খতিয়ান নং-৭৭২ ও ৪৮৩,৪৮১,৪৮৬,৪৫৭ দাগে ১.১৬ শতাংশ জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল আসছে চন্দন কুমার গং। কিন্তু উক্ত জমি বেদখল নিতে এবং জোর পুর্বক ভোগ দখলে নিতে বিরোধ সৃষ্টি করেছে জবেদ আলী গং।

অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়, ঘটনার দিন ২০ মে’১৭ সকালে চন্দন কুমার গং বর্ণিত জমিতে ধান কাটতে যাওয়ায় প্রতিপক্ষ জবেদ আলী (৫০) ও তার স্ত্রী-পুত্রদ্বয়সহ আরো অনেকেই বে-আইনী ভাবে আমাদের ধান কাটতে বাঁধা দেওয়ায় আমরা প্রতিবাদ করায় তারা সকলে অস্ত্রে শস্ত্রে আমাদেরকে মারপিট করে জখম করে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। এ সময় প্রাণ ভয়ে আমরা বাড়ীতে পালিয়ে আসলেও তারা আমাদের পিছু নিয়ে বাড়ীর সামনে এসে চিৎকার করে আমাদের ডাকে।

কিন্তু আমরা প্রাণ ভয়ে লুকিয়ে থাকি। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের বাড়ীর সামনে থাকা কালী ঠাকুর মুর্তি ও লক্ষী নারায়ন প্রতিমা ভাংচুর করে বলে চন্দন কুমার তার অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন। এ সময় প্রতিপক্ষ জবেদ আলীর স্ত্রী মেরিনা বেগমকে আটক করে রাখে চন্দন কুমার রায়ের পক্ষীয় লোকজন। এ ঘটনায় জবেদ আলীর অভিযোগ পেয়ে ডিমলা থানার এসআই অতিকুর রহমান আতিক তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনার দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় টিনসেট ও জমি থেকে কাটা ধানগুলি তৃতীয় পক্ষ হিসেবে মাহবুল ইসলাম ও ঝল্লো মামুদের কাছে জমা করেন।

পরে উভয় পক্ষের শিক্ষক চন্দন কুমার ও জবেদ আলীর স্ত্রী মেরিনা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। কিন্তু ঘটনার দিন থেকে জবেদ আলী ও তার লোকজন শিক্ষক চন্দন কুমারকে প্রাণ নাশের হুমকী অব্যাহত রেখেছেন বলে ২৬ মে’ ১৭ অভিযোগ করে জানান শিক্ষক চন্দন কুমার রায়। এ দিকে বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মীমাংসা করা হবে এবং উভয় পক্ষ জমির কাগজ পত্র সংগ্রহ করার জন্য সময় নিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

এ ঘটনায় পাল্টা পাল্টি অভিযোগ তুলে ধরে প্রতিপক্ষ জবেদ আলী বলেন, চন্দন কুমারকে কোন হুমকী প্রদান করা হচ্ছে না। আর আমার ক্রয়কৃত জমির টিনসেট ও ধানের ক্ষেত তারা কেটে নিয়ে গেছে। যার কারনে আমার স্ত্রী ও পুত্রদ্বয় বাজার থেকে ক্যামেরা ম্যান এনে ছবি তুলতে গেলে তারা আমার স্ত্রীকে মারধর করে এবং আটক করে রাখে। মাকে বাঁচাতে ছেলেরা চন্দনের বাড়ীতে যাওয়ায় টানা হ্যাচরার ঘটনা ঘটে। কিন্তু আমার স্ত্রী মেরিনার কানের লতি ছিরে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় বাসিন্দরা জানান, বিষয়টি খুব স্পর্শকাতর। সুতরাং অধিকতর তদন্ত প্রয়োজন।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন