চীফ হুইপকে কুটুক্তি করাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপে সংঘর্ষ আহত-৫

  21-06-2017 09:06PM

পিএনএস, জেলা প্রতিনিধি (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর বাউফলে ইফতার পার্টিতে জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ ও বাউফলের এমপি আসম ফিরোজকে নিয়ে কুটুক্তি করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক গ্রুপ অপর গ্রুপের নেতাকর্মীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেছে। এসময় দুইটি মটর সাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে। আজ বুধবার(২১জুন) দুপুরের দিকে অপর গ্রুপ শ্রমীক লীগের সভাপতি ও নওমালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহজাদা হাওলাদারকে মারধর এবং উপজেলা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মজিবুর রহমানকে ৩ ঘন্টা অপবরুদ্ধ করে রাখে। এ ঘটনায় উভয় গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। শহরে ব্যাপক পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।

জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার মুক্তিযোদ্ধা অডিটরিয়মে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাউফল পৌর সভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের ইফতার পার্টিতে শ্রমীক লীগের সভাপতি ও নওমালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহজাদা হাওলাদার জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ আসম ফিরোজ এমপিকে নিয়ে কুটুক্তিমূলক বক্তব্য দেন। আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে চেয়ারম্যান শাহজাদা হাওলাদার উপজেলা পরিষদে আসলে চীফ হুইপ গ্রুপের কয়েক ছাত্রলীগ ও যুব লীগ কর্মীরা তাকে ধাওয়া করেন। এসময় তিনি দৌঁড়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মজিবুর রহমানের অফিস রুমে গিয়ে আশ্রয় নিলে তারা সেখানে গিয়ে তাকে লাঞ্ছিত করেন। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান তার অফিস রুমে ছিলেন না।

খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে এলে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। তিন ঘন্টা পরে পটুয়াখালী থেকে রির্জাভ পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহীম ফারুক বলেন, মঙ্গলবার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের ইফতার পার্টিতে চীফ হুইপ আসম ফিরোজ এমপিকে নিয়ে কুটুক্তি করা হয়। এর দায় এড়াতে নিজেরাই নাটক সাজিয়েছেন। এ ঘটনার সাথে আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের কোন নেতাকর্মী জড়িত নয়।

অপর দিকে ওই এঘটনাকে কেন্দ্র করে একই দিন বিকাল সারে ৪টার দিকে মেয়র জুয়েল গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মীরা কলেজ রোড এলাকায় চীফ হুইপ গ্রুপের ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুমন, বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক লিংকন, পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদসহ ৪-৫ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। এসময় দুইটি মটর সাইকেল ভাংচুর করা হয়। আহতদের মধ্যে লিংকন ও সুমনকে আশংকা জনক অবস্থায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ছাত্রলীগ নেতা রিয়াদ জানান, তারা ওই সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মোতালেব হাওলাদারেকে তার বগাস্থ বাসভবনে এগিয়ে দিয়ে বাউফল ফিরছিলেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিহিংসার রাজনীতি করেননা। আমাদের সবার উচিৎ সহ অবস্থান বজায় রেখে রাজনীতি করা।

এ ঘটনার পর শহরে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ দিকে ভাংচুরের ছবি তুলতে গিয়ে যুগান্তরের বাউফল প্রতিনিধি সিবলি সাদিক নাজেহাল হয়েছে বলে জানা গেছে।বাউফল থানার ওসি আযম খান ফারুকী বলেন, পরিস্তিতি শান্ত রাখতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন